পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। রিকময় ও সহিষ্ণুতা সহকারে সকল অত্যাচার সহ করিয়াই নিরস্ত * হইলেন না, বয়োজ্যেষ্ঠদিগকে বিনীতভাবে বলিতে লাগিলেন— , “আপনাদের সুশীৰ্ব্বাদে যদি শান্তিপুরে বাস করিয়া ইহার কিছু উপকার করিতে পারি তাহা হইলে আমার জীবন সফল হয়। আমার বিশ্বাস হয়ত কালে এই ঠাকুরঘর ব্ৰাহ্মসমাজে পরিণত হইবে ।” র্তাহার বিশ্বাস বিনয় ও সহিষ্ণুত দর্শনে কোন কোন ব্যক্তির হৃদয় দ্রব্য হইল, এবং অনেকের উত্তেজনারাও লাঘব হইল ; কিন্তু প্ৰধান প্ৰধান ব্যক্তিগণ র্তাহাকে সমাজ-চু্যত করিলেন । ইহাতেও তিনি নিরস্ত হইলেন না । শান্তিপুরে ব্ৰাহ্মসমাজ প্ৰতিষ্ঠাৰ্থ উদ্যোগী হইলেন । ঈশ্বরোিচ্ছায় তাহার চেষ্টায় এই বৎসরই তথায় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা হইল। “সাধু ইচ্ছার সহায় ভগবান’—নতুবা শাস্তিপুরের প্রধান প্রধান গোস্বামীগণ বিরোধী হইয়া যাহাকে দেশ-তাড়িত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহার উদ্যোগে তথায় কখনও ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা হইতে পারিত না । যাহা হউক ইহার পর ক্রমে ক্রমে তাহার ধৰ্ম্মজীবনের প্রভাবে তথাকার অধিবাসীগণ র্তাহাকে সাদরে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । তিনি একবার বলিয়াছিলেন -“আমি যখন ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করিয়াছিলাম, তখন কত লোক কত নিন্দ-অপযশ ঘোষণা করিয়াছিল, গ্রামের লোকেরা। এতদূর খড়গ-হস্ত হইয়াছিল যে, আমাকে কেবল সমাজ-চু্যত করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, আমাকে অত্যন্ত ক্লেশ দিবার জন্য আমার গাত্রে রাবি-গুড় ( তরল গুড় ) লেপন করিয়া বোলতা লাগাইয়া দিয়াছিল। কিন্তু ভগবাদিচ্ছায় সে দিন গিয়াছে। এক সময় যে গ্রামবাসীরা অকথ্য অত্যাচার করিয়াছিল, এখন তাহারাই এতদূর অনুরক্ত হইয়াছে যে, আমাকে পাইলে আর ছাড়িতে চায় না।” বস্তুতঃ মানুষ ভগবৎ-সঙ্গ লাভ করিলে বিরোধীরাও মিত্ৰ হইয়া উপস্থিত