পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ কর্তৃক বর্জন। হয়। তখন পূর্বে যাহারা দূরে তাড়াইয়া দিয়াছিল, তাহারাও সমাদয়ে গ্ৰহণ করে। মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় কেবল শান্তিপুরবাসীর নয়, বঙ্গদেশের বহুলোকের অপরিসীম শ্রদ্ধালাভ করিয়াছিলেন। তিনি প্রচারার্থে গিয়া দেশে দেশে এক সময়ে যেরূপ ভয়ানক অত্যাচার সহ্য করিয়াছিলেন, আবার অন্য সময়ে লোকের তেমনি অসাধারণ ভক্তি-ভালবাসা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। তঁহার প্রগাঢ় ধৰ্ম্মভাব ও ভক্তি-বিশ্বাসে আকৃষ্ট হইয়া, ব্ৰাহ্মসমাজের। কাৰ্য্যাদিতে দলে দলে লোক যোগ দিয়াছিল । যখন আত্মীয়, বন্ধু এবং দেশ বাসী সকলেই, তাহাকে উপবীতত্যাগী অহিন্দু বলিয়া পরিত্যাগ করিলেন, তখন একমাত্র তাহার ভগিনী-পতি কিশোরীলাল মৈত্ৰেয় মহাশয় তাহাকে আশ্রয় দিলেন । কিন্তু উৎপীড়নকারীগণের নিকট ইহা মৈত্ৰেয় মহাশয়ের অপরাধ স্বরূপ গণ্য হইল ; এবং এই অপরাধে তাহার এবং তঁহার পত্নীর আর শান্তিপুরের বাড়ীতে স্থান রহিল না। অগত্য মৈত্ৰেয় মহাশয় সপরিবারে কলিকাতা আসিয়া গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে একত্র বাস করিতে বাধ্য হইলেন । ইহাতে তাহাকে সাংসারিক অভাবে অত্যন্ত ক্লেশ পাইতে হয় । কিন্তু ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস এই সমস্ত ক্লেশের মধ্যেও তাহাদিগকে “স্থিয় রাখিয়াছিল। গোস্বামী মহাশয়ের সংসর্গে আসিয়া তাহদেরও ব্ৰহ্মোপুাসনায় বিশেষ অনুরাগ জন্মিয়াছিল। গোস্বামী মহাশয় বলিয়াছেন“র্তাহাকো ( মৈত্ৰেয় মহাশয়কে ) বাসায় আনিলে আমাদের বাসায় প্ৰতিদিন পারিবাৱিক উপাসনা হইতে লাগিল। এক মাসের পর আমার পূজনীয়া জ্যেষ্ঠ ভগিনী বলিলেন, ‘পৌত্তলিক উপাসনা অপেক্ষা ব্ৰহ্মোপাসনাই তাহার ভাল বোধ হয় ।” তিনি ব্ৰহ্মোপাসনা আরম্ভ করিলেন। পুৰ্ব্বে যেমন আহ্নিক না করিয়া জল-গ্ৰহণ করিতেন না, এখনও তদ্রুপ