পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়াছে শুনিয়াই পরদুঃখ-কাতর মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ প্রচার-ব্ৰত গ্ৰহণান্তর তথায় গমন করিতে অভিলাষী কইলেন । তিনি লিখিয়াছেন ঃ-“দেশের ভয়ানক দুরবস্থা, লোকালয় সকল ঘোরঅরণ্যে পরিণত হইয়াছে, অরণ্যাভ্যন্তরস্থ অট্টালিকায় হিংস্ৰজন্তুগশ্ব ভীষণ গর্জন করিয়া ক্রীড়া করিতেছে। যে দুই এক ঘর মানুষ্যের বাস আছে তাহাতে -দিবানিশি রোদান-ধ্বনি শ্রবণে প্ৰাণ উদাস হইয়া যায়।” * বস্তুতঃক্ষাম ক্ৰোধাদি রিপু-দলের উত্তেজনায় যানব যেন হিংস্ৰ জন্তুর ন্যায় জীবন যাপন করিতেছে ; আর তাহদের হিংসা-দ্বেষ-কলহে লোকালয় অরণ্যে পরিণত হইয়া রহিয়াছে । মানবসমাজের ঈদৃশী অবস্থা প্ৰত্যক্ষ করিয়াই যেন তাহার প্রাণে তীব্ৰ বৈরাগ্যের উদয় হইল ; এবং উহাই তাহাকে আত্ম-সুখ বিসর্জন দিয়া পরিহিত-সাধনাৰ্থে প্রচার-ব্ৰত গ্রহণে প্রোৎসাহিত করিল। তখনও মেডিকেল কলেজে তাহার নাম রহিয়াছে । পড়া ছাড়িবেন শুনিয়া, বন্ধুদের কেহ কেহ বলিলেনঃ- “মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আর অধিক বিলম্ব নাই, এ সময় পড়া ছাড়িলে তোমার পরিবার কিরূপে প্রতিপালিত হইবে ?” কিন্তু তিনি । নিজের ও পরিবারবর্গের ভবিষ্যৎ ভাবিবার অবসর পাইলেন না । অন্তর্যামী ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি করিয়া, মনে করিলেন—“যিনি মরুভূমিতে তৃণ-গুল্ম রক্ষা করেন, সমুদ্রের গভীর নীর মধ্যে প্রাণী-পুঞ্জকে প্রতিপালন করিতেছেন, তিনি কখনও অনাহারে দুঃখী পরিবারকে বিনাশ করিবেন না।” + এইরূপ চিন্তা তেঁাহাকে নিৰ্ভয় এবং সর্বপ্ৰকার

  • আশাবতীর উপাখ্যান ; এই উপাখ্যান তঁাহার আত্ম-কাহিনী অবলম্বনে লিখিত ।

আত্ম বিবরণ ।