পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। পরীক্ষা,৯অভাব, দুঃখ ও নির্যাতন উপেক্ষা করিয়া ভবিষ্যতের চিস্তা ভগঙ্কৎপদে সমর্পণপূৰ্ব্বক প্রচার-ব্ৰত” গ্রহণে অগ্রসর করিল। তিনি বলিয়াছেন—“১৭৮৪ শকের ( ১২৬৯ সান ) শেষ ভাগে এক দিন সঙ্গতে এইরূপ আলোচনা হইয়াছিল যে, এখন নানা দেশ। বিদেশের লোকে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিবার জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়াছেন, তঁহাদের নিকট গমন করিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ দেন। এরূপ লোকের নিতান্ত অভাব। ইহা শ্রবণ করিয়া আমার মন ব্যাকুল হইয়া উঠিল। তখনই বলিলাম, আমি প্রচার-ব্ৰত অবলম্বন করিব। সঙ্গীতস্থ সকলেই আনন্দের সহিত আমার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। ভক্তিভাজন আচাৰ্য্য শ্ৰীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় বলিলেন যে, ‘ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রচারক হইতে হইলে রীতিমত পরীক্ষা দিয়া উত্তীর্ণ হইতে হইবে এরূপ নিয়ম করা হইয়াছে।” আমি ঐ পরীক্ষা দিতে সম্মত হইলাম। আরও দুইটী ভ্ৰাতা পরীক্ষা প্ৰদান করিয়াছিলেন । ঈশ্বরের কৃপায় বহু পরিশ্রমের পর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলাম । পরে আদেশ হইল যে প্রথম হইতে সমস্ত তত্ত্ববোধিনী পাঠ করিতে হইবে। প্ৰায় দুই মাস পরিশ্রম করিয়া তত্ত্ববোধিনীও পাঠ করিলাম । তাহার পর আচাৰ্য্য মহাশয় প্রধান অ্যাচাৰ্য্য মহাশয়ের নিকট আমাকে যাইতে অনুমতি করেন । আমি শ্ৰীরামপুরে প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করি । তিনি আমাকে প্রচারক বলিয়া স্বীকার করিয়া গ্ৰহণ করেন ; এবং প্রথমেই কোন্নগর ব্ৰাহ্মসমাজের ভার প্রদান করেন। প্ৰধান আচাৰ্য্য মহাশয় তাহার নিকট সংস্কৃত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম পুস্তক অধ্যয়ন করিতে আদেশ করেন। তঁহার নিকট ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম পুস্তক পাঠ করি।” *

  • ব্ৰাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত ।