পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । “সৌম্য, তুমি অদ্য ঈশ্বরপ্রসাদে উপাচাৰ্য্য পদে অভিষিক্ত হইলে । ভূমি এই তার কায়মনোবাক্যে বহন করিবে। ব্ৰহ্মজ্ঞান ও কৰ্ত্তব্যজ্ঞান উপার্জনে সৰ্ব্বদা যত্নশীল থাকিবো ; এবং সৰ্ব্বসাধারণ মধ্যে তাহ? বিতরণ করিবে । অধ্যয়ন, অধ্যাপনে ও গৃহধৰ্ম্ম যাজনে নিরলস হইবে । , নিয়ত ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে পৰিত্ৰ হইয়া পবিত্ৰীস্বরূপের সহবাসে আনন্দ উপভোগ করিবে, এবং সদুপদেশ ও সাধু চেষ্টার দ্বারা ঈশ্বরের পথে সকলের মনকে আকর্ষণ করিবে । গুরুজনকে ভক্তি করিবে, বৃদ্ধদিগকে সমাদর করিবে ও সকলকে যথোপযুক্ত সম্মান দিবে। স্বাধীন হইয়া বিনয়ী হইবে। পরের অত্যুক্তি সকল সহ্য করিবে, কাহারও প্রতি দ্বেষ করিবে না। অন্যে যদি তোমার প্রতি অসাধু ব্যবহার করে, তুমি সাধুভাব অবলম্বন করিয়া তাহাকে শিক্ষা দিবে। পাপাচারী ব্যক্তির প্রতি পাপাচার করিবে না, কিন্তু সৰ্ব্বদা সাধুই থাকিবে । সম্পদে বিপদে, স্তুতি নিন্দাতে, মান অপমানে অবিচলিত থাকিয়া, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচায়ী করিবে ! ঈশ্বর তোমাকে রক্ষা করুন। তোমার শরীরবৃলিষ্ঠ হউক, অভিপ্রায় মহান হউক, ধৰ্ম্ম নিঃস্বাের্থ হউক, হৃদয় পবিত্র ইউক, জিহবা মধুময় হউক ; তোমার চক্ষু ভদ্ররূপ দৰ্শন করুক, কৰ্ণ ভদ্রকথা শ্রবণ করুক। ওঁ শান্তি, শান্তি, শান্তি, হরি ওঁ ৷” মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের এই মধুময় উপদেশ তাহার জীবনে সার্থকতা লাভ করিয়াছিল। স্বাধীন হইয়া কিরূপে বিনয়ী হইতে হয় এবং কিরূপে নিঃস্বাৰ্থ ভাবে ধৰ্ম্মসাধন করিতে হয়, তিনি তাহার উজ্জল দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন। এস্থলে তঁহার জীবনের দুইটী ঘটনার উল্লেখ করিতেছি ; উহাতে স্বাধীন হইয়া কিরূপে বিনয়ী হইতে হয়। তাহার পরিচয় পাওয়া যাইবে । মহর্ষি কর্তৃক উপাচাৰ্য্য পদে বৃত হওয়ার পর একদিন মধ্যাহ্নে তিনি