পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের সূত্রপাত। তিনি লিখিলেন,-“আজি প্রকৃতির মধ্যে যে ভীষণ ব্যাপার হইতেছে, তুমি তাহাতে পরমেশ্বরের লীলা দর্শন কর।” তৎপর একাকী উপাসনা করিয়াই গৃহে ফিরিতেছিলেন, এমন সময় পথে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সঙ্গে তঁাহার সাক্ষাৎ হইল। তিনি পান্ধি করিয়া মন্দিরে যাইতেছিলেন, তাহাকে দেখিয়া পুনরায় দুইজনে মন্দিরে গিয়া উপাসনা করিলেন। গোস্বামী মহাশয়ের এই একনিষ্ঠতার কথা প্রচারিত হইলে হিন্দু ব্ৰাহ্ম সকলেই নিতান্ত বিস্মিত হইয়াছিলেন । ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা, পূর্ববঙ্গলায় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। ১২৭১ সনের ২০শে আশ্বিনের ঝড়ে কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজ-গৃহ ভগ্নদশায় উপনীত হওয়ায়, উক্ত গৃহের সংস্কার নিতান্ত আবশ্যক হয় । এজন্য কিছুদিন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের গৃহে ব্ৰাহ্মসমাজের সাপ্তাহিক উপাসনার। কাৰ্য্য চলিতে থাকে। ঝড়ের পরবর্তী বুধবার মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী মহাশয়কে বলিলেন, —“অন্নদা বাবু পীড়িত আছেন, আসিতে পরিবেন না, অতএব তুমি ও পাকড়াশী মহাশয় অদ্য বেদীর কাৰ্য্য কর।” এই মৰ্ম্মে তিনি আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰকেও একখানা পত্র লিখিলেন । পাকড়াশী মহাশয় উপবীতধারী ছিলেন । উপবীতধারী ব্ৰাহ্ম বেদীর কাৰ্য্য করিবেন,-উপাচাৰ্য্য নিয়োগ সম্বন্ধীয়