পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। মূলেও গোস্বামী মহাশয়ের চেষ্টা সহায় হইয়াছিল। তিনি একদিন । ব্রজসুন্দর বাবুর কথা প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন,-“তিনি ( ব্রজসুন্দর বাবু) আমার পরম বন্ধু ছিলেন । তঁাহাদ্বারা আমি বহু প্রকারে উপকৃত হইয়াছি ; ব্ৰাহ্মসমাজও তাহার নিকট বিশেষ উপকৃত । একদিন । ঢাকার বাসায় তাহার সঙ্গে আলাপ করিতে করিতে আমি ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারকদের কষ্টের" কথা উল্লেখ করিয়া বলিয়াছিলাম, “একটিী ফাণ্ড না থাকায় তাহদের কোন কোন দিন আহারেরই সংস্থান হয় না।” শুনিয়া ব্রজসুন্দর বাবু ব্যথিত হইলেন ; এবং সেই দিন সমাজে ( তখন তাহার গৃহে ব্ৰাহ্মসমাজের কাজ হইত ) যত লোক উপস্থিত হইলেন সকলের নিকট প্ৰস্তাব করিয়া চান্দা ধরিলেন ; নিজেও স্বাক্ষর করিলেন । একদিনে সাতশত টাকা স্বাক্ষরিত হইল, এবং সেই টাকা সংগ্ৰহ করিয়া কলিকাতায় পাঠান হইল।” এইরূপে । ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারফণ্ডের সূত্ৰপাত হয়। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারার্থে পূর্ববঙ্গলায় সৰ্ব্বাগ্ৰে গোস্বামী মহাশয় গমন করেন । ধৰ্ম্মপ্রচার তাহার জীবনের সর্বশ্ৰেষ্ঠ কাৰ্য্য ; এই কাৰ্য্য সম্পাদনাৰ্থে তিনি ঢাকাতে যে সমস্ত উদ্দীপনাপূর্ণ বক্তৃতা করেন। উহাতে তথায় বিশেষ আন্দোলন ও পরিবর্তন সংঘটিত হয় ; এবং তদ্বারা শিক্ষিত লোকের প্রাণে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগ জন্মে। তিনি বক্তৃতাতে এই সত্যটী বিশেষরূপে শ্রোতাদের হৃদয়ে নিবদ্ধ করিতে যত্ন করিতেন যে, “শুধু ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মতে বিশ্বাস করিলে চলিবে না, তদনুরূপ কাৰ্য্য করিতে হইবে।” । পৌত্তলিকতা, জাতিভেদ, নীতি, চরিত্র, ধৰ্ম্ম, ইত্যাদি কাৰ্য্যকারী বিষয় সকল তঁহার বক্তৃতার বিষয় হইয়াছিল। শ্রোতৃ-মণ্ডলী অত্যন্ত অনুরাগ ও আগ্রহের সহিত তাহার বক্তৃতা শ্রবণ করিয়াছিলেন। ক্রমে তাহার বক্তৃতায় অনেক,