পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। ԳS একবার সংবাদ লয় নাই। ইহাতে মনে “বুড় ক্লেশ পাইয়াছি। ইনি সাতশত ঘর শিন্য ছাড়িয়া পৈতা ফেলিয়া ব্ৰাহ্ম হইয়াছেন।” তৎপর | গৃহে এবং ব্ৰাহ্মসমাজে গোস্বামী মহাশয়ের উপাসনায় # * কুমিল্লা সহর জাগিয়া উঠিল । পিতৃদেবের সঙ্গে ইহার অত্যন্ত বন্ধুতা জন্মিল । ( অবশ্য পিতৃদেবের বয়স বেশী এবং ইহার বয়স কম ছিল ) ইহার স্বাৰ্থত্যাগ, ধৰ্ম্মপিপাসা, ব্যাকুলতা দেখিয়া ইহার উপর আমাদের অত্যন্ত ভক্তির উদ্রেক হইল। সেই হইতে গোস্বামী পরিবারের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তার সূচনা ৷’’ ব্রজসুন্দরবাবুর সঙ্গে গোস্বামীমহাশয়ের ইতিপূৰ্ব্বে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পরিচয় ছিল না, এই হইতে পরিচয় ও আত্মীয়তা জন্মিল । কুমিল্লার ব্ৰাহ্মগণ এতদিন নিতান্ত নিৰ্জীবিভাবে বাস করিতেছিলেন । এখন নবাগত উদ্যমশীল প্রচারক ভ্ৰাতার আগমনে তঁহাদের মৃতভাবে আপনীত হইল। ইহার বক্তৃতা, উপাসনা ও উপদেশ যেন তঁহাদের মধ্যে নবজীবনের সঞ্চার করিল। ব্রজসুন্দর বাবুর সঙ্গে গোস্বামী মহাশয়ের কিরূপ সৌহার্দ্য জন্মিয়াছিল। তাহা তাহার পত্ৰ হইতে উদ্ধৃত করিয়া দেখাইতেছি ঃ “মহাশয়ের স্নেহে আমি নিতান্তই বাধ্য হইয়াছি। বলিতে কি সময়ে সময়ে মহাশয়কে মনে করিয়া হৃদয় ক্ৰন্দন পৰ্য্যন্ত করিয়াছে। এ আপনিও আমার মত কষ্ট পাইতেছেন তাহা আমি অগ্ৰেই জানিয়াছি। মহাশয় ঢাকায় থাকিলে যে কত উপকার হইত। তাহা বুঝিতেই পারিতেছি। যদিও দীনবাবু বিশেষ চেষ্টা করিতেছেন, তথাপি প্ৰাচীনদিগকে আনা যাইতেছে না । কিন্তু যে তিনশত সাড়ে তিনশত লোক বক্তৃতা শ্রবণ করিয়াছেন, তঁহাদের মধ্যে উপকার হইয়াছে।” গোস্বামী মহাশয় কুমিল্লা গিয়াই নিরস্ত হইলেন জ্ঞানী। ভিন্ন ভিন্ন