পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ\Ն মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ‘বেদান্ত প্ৰবেশ’ ও রামমোহন রায় শ্ৰী যুক্ত চন্দ্ৰশেখর বসু মহাশয় তাহার রচিত ‘বেদান্ত প্রবেশ’-গ্রন্থে বামমোহন রায়েব বেদান্তভাষ্য সম্বন্ধে লিখিযাছেন ;-“মিথিলাতে বেদ-বেদান্ত ও বেদাঙ্গের অনুশীলন বরং কিঞ্চিৎ আছে, কিন্তু বঙ্গদেশে কিছুই নাই। এ সম্বন্ধে রামমোহন রায়ই বঙ্গে বা মুখোজ্জল করিয়া গিয়াছেন।” * * * * “তিনি ( বামমোহন বায় ) ১৭৩৭ শাকে, বেদান্তসূত্র মুদ্রিত করিয়া প্ৰকাশ করেন। তিনি তাহার যে প্রকার বাঙ্গলা অনুবাদ দিয়াছেন, তাহা যদিও অতি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তিনি বেদান্তের সমুদয় সার তাৎপৰ্য্যই তদ্বারা প্ৰকাশ করিয়াছেন। সর্বশাস্ত্রের পাবাদশী না হইলে, কিছুতেই ঐ রূপ ভাষ্য করা যায় না। র্যাহারা উহার গভীরতাব মধ্যে প্ৰবেশ কবিয়াছেন, র্তাহারা উহা হইতে প্ৰভূত উপকার লাভ করিয়াছেন।” 来源 来源 来 米 “এ স্থলে মহাত্মা রামমোহন বায় সম্বন্ধে একটি বিশেষ কথা ব্যক্তি না করিয়া এই পুস্তক সমাপ্ত কবিতে পারি না । তিনি যে কেবল ব্ৰাহ্মসমাজের। প্ৰবৰ্ত্তক ছিলেন, এমন নহে। তিনি একজন শাস্ত্রের অসাধারণ মীমাংসক ছিলেন । বিচারিত: তাহাকে একজন হিন্দুশাস্ত্রীয় দর্শনকার বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। তিনি বেদ ও অন্যান্য সমুদয় শাস্ত্রের যথাযোগ্য মান্য বাখিয়া শাস্ত্রেব এক চমৎকার সংক্ষেপ মীমাংসা আমারদিগকে প্ৰদান কবিয়া গিয়াছেন । এক্ষণে ইয়োরোপীয় দর্শনকারদিগের শ্রেণীর অনেক গ্ৰন্থকার। এদেশে জন্মগ্রহণ করিতে পরিবেন, কিন্তু রামমোহন রায় যে শ্রেণীর দর্শনকার ছিলেন, বোধ হয়, শাস্ত্ৰপ্রিয় ভারতরাজ্য তঁাহার অর্ণবপোতারোহণের সঙ্গে সঙ্গে তাহা হইতে চিরকালের