পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ ԳԳ নিমিত্ত বঞ্চিত হইয়াছেন। তিনি যে সহজ প্ৰণালীতে শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন, তাহ যেমন শাস্ত্ৰানুমোদিত, তেমনি হৃদয়গ্ৰাহী । 来源 锋 来源 米 “রামমোহন বায় একটি অতি সহজ ও সুসংলগ্ন প্ৰণালী দ্বারা ঐ সকল শাস্ত্রের নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য প্ৰকাশ করিলেন। তিনি মীমাংসা করিলেন। যে ব্ৰহ্ম, জীব ও জগতের মধ্যে পরস্পর ভেদ আছে । ভেদই সকল শাস্ত্রেব তাৎপৰ্য্য। উপনিষদে যে “সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্ৰহ্ম’ কহিয়াছেন, সে ব্ৰহ্মের সর্বব্যাপ্তিত্ব প্ৰতিপাদনার্থে। নানা দেবতাকে যে ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে, সে ব্রহ্মের সর্বত্ৰে বৰ্ত্তমানত দেখাইবার জন্য এবং দুর্বলাধিকারীর হিতের নিমিত্তে । প্ৰত্যেক পদার্থ বা দেবতাকে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্ৰহ্ম কহা শাস্ত্রের উদ্দেশ্য নহে । বামদেব, কপিল, শ্ৰীকৃষ্ণ প্ৰভৃতি মহাত্মারা যে, আপনা আপনাকে ব্ৰহ্মরূপে বৰ্ণনা করিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, “আধ্যাত্ম বিদ্যা’র উপদেশকালে বক্তারা আত্মতত্ত্বভাবে পরিপূর্ণ হইয়া পরমাত্মাস্বরূপে আপনাকে বর্ণন করেন। ফলে, তাহারা যে আপনার স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্ৰহ্ম, ও বর্ণনার এমত তাৎপৰ্য্য নহে । রামমোহন রায়ের এইরূপ ব্যাখ্যায় স্থির হইয়াছে যে, জীবাত্মাকে, কোন মনুষ্যকে, বা কোন পদার্থকে স্বরূপতঃ ব্ৰহ্ম বলা অদ্বৈতপ্রতিপাদক *iigठ्द्र ऐछेgझथु) मgरु ।” উপনিষদ প্ৰকাশ বেদান্তসূত্র ও বেদান্তসার প্রকাশ করিয়া তিনি পাঁচখানি উপনিষদ, বাঙ্গলা अर्शान সহিত, মুদ্রিত ও প্রচারিত করিলেন । তন্মধ্যে সামবেদের অন্তৰ্গত তলবীকার উপনিষৎ প্ৰথম প্ৰকাশ করেন । তলািবকারের অপর নাম কোনোপনিষৎ । ১৭৩৮ শকে, ১৭ই আষাঢ়, ইহা প্ৰথম প্ৰকাশিত হয় ।