পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮. মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তলবীকার উপনিষদের ভূমিকায় রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, তিনি ভগবান ভাষ্যকারের অর্থাৎ শ্ৰীমৎ শঙ্করাচাৰ্য্যের ব্যাখ্যানুসারে ইহার অনুবাদ করিয়াছেন । তৎপরে বলিতেছেন,-“বেন্দেতে যে যে ব্যক্তির প্রামাণ্য জ্ঞান আছে, তাহারা ইহাকে অবশ্যই মান্য এবং গ্রাহ করিবেন ; আর যাহার নিকট বেদ প্ৰমাণ নহেন, তাহার সহিত সুতরাং প্ৰয়োজন নাই ।” শেষোক্ত কথাগুলি তিনি সাকারবাদী হিন্দুদিগের প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেন। সাকারবাদী হিন্দুগণ বেদকে মূলশাস্ত্ৰ বলিয়া স্বীকার করিতে বাধ্য। সুতরাং সেই বেদ হইতে যাহা প্ৰতিপন্ন হইতেছে, তঁহাদের তাহা অস্বীকাব করিবার পথ নাই। উপনিষদ বেদের শিরোভূষণ । উপনিষদ যে নিরাকার ব্রহ্মোপাসনার উপদেশ দিতেছেন, হিন্দু হইয়া, বেদকে অভ্রান্ত মূলশাস্ত্ৰ বলিয়া স্বীকার করিয়া, কেমন কবিয়া তাহা অগ্ৰাহা করিতে পারেন ? সুতরাং রামমোহন রায় সাকারবাদী হিন্দুদিগের প্রতি কটাক্ষ করিয়া বলিতেছেন,-“যাহার নিকট বেদ KBDDBBDSDDBB BD DJDBE B0LBDB DDD SSS এ কথার আর একটি দিক আছে। র্যাহাদের যে শাস্ত্র, রামমোহন রায় তাহদের জন্য সেই শাস্ত্ৰ ব্যাখ্যা করিয়াছেন । খ্ৰীষ্টিয়ানদের জন্য বাইবেলের ব্যাখ্যা, মুসলমানদের জন্য কোরানের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। রামমোহন রায় নিজে কেবল বেদ মান্য করিতেন, বাইবেল বা কোরান মানিতেন না, ইহা সত্য নহে। অথবা, তিনি বেদ, বাইবেল, কোরান, সকল শাস্ত্ৰকেই সকলের জন্য, সমান ভাবে, মান্য কািরয়া গিয়াছেন, তাহাও নহে। তিনি হিন্দুদের জন্য বেদ খ্ৰীষ্টিয়ানদের জন্য বাইবেল, মুসলমানদের জন্য কোরান মান্য করিয়া গিয়াছেন । এ বিষয়ে তঁহার নিজের মত কি ছিল ? তিনি একেশ্বরবাদী ছিলেন । তিনি বিশ্বজনীন