পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ b”Sy সৰ্ব্বময়ারূপে দর্শন করিবার উপদেশ আছে । সুতরাং, পঙ্ক-চন্দন সমান জ্ঞান কর না কেন বলিযা যেমন ব্ৰহ্মজ্ঞানীকে আক্রমণ করা যাইতে পারে, সেইৰূপ, সাকারোপাসককেও অবিকল ঐ কথা বলা সঙ্গত হইতে পারে। কেননা, সাকারোপাসকের প্রতিও উপদেশ রহিয়াছে যে, তিনি তাহার ইষ্টদেবতাকে সর্বময় বলিয়। অনুভব করেন। তাহার কোন কোন প্ৰতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিত র্তাহাকে এই বলিয়া আক্রমণ করিয়াছিলেন যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানীর ন্যায় কি কৰ্ম্ম করা ? তিনি এই কথার উত্তরে আপনার হীনতা স্বীকার করিয়াছেন, এবং সেই সঙ্গে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন যে, শাক্ত, বৈষ্ণব প্ৰভৃতি মতাবলম্বী লোকসম্বন্ধেও ঐ কথা সমানরূপে বলা যাইতে পারে। অর্থাৎ, শাক্ত, বৈষ্ণব প্ৰভৃতি মতাবলম্বী ব্যক্তিগণকেও বলা যাইতে পারে, শাক্তের ন্যায় কি কৰ্ম্ম কব ? বৈষ্ণবের ন্যায় কি কৰ্ম্ম করা ? ইত্যাদি । আমরা ঈশোপনিষদের ভূমিকা হইতে কয়েকটি স্থান নিম্নে অবিকল উদ্ধত করিলাম। পাঠক, রামমোহন রায়ের নিজের উক্তি পাঠ করিয়া তৃপ্তিলাভ করিতে পরিবেন। সাকার উপাসনা কাহাঁদের জন্য ? “এই সকল উপনিষদের দ্বারা ব্যক্তি হইবেক যে, পরমেশ্বর একমাত্র, সৰ্ব্বত্ৰব্যাপী, আমাদের ইন্দ্ৰিয়ের এবং বুদ্ধির আগেচের হয়েন। তঁহারই উপাসনা প্ৰধান এবং মুক্তির প্রতি কারণ হয় ; আর নামরূপ সকল মায়ার কাৰ্য্য হয়। যদি কহ, পুরাণ এবং তন্ত্রাদি শাস্ত্ৰেতে যে সকল দেবতার উপাসনা লিখিয়াছেন, সে সকল কি অপ্রমাণ ? আর, পুরাণ এবং তন্ত্রাদি কি শাস্ত্ৰ নহেন ? তাহার উত্তর এই যে, পুরাণ এবং তন্ত্রাদি অবশ্য শাস্ত্র বটেন ; যেহেতু, পুরাণ এবং তন্ত্রাদিতেও পরমাত্মাকে এক 6