পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb“ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ব্ৰহ্মোপসানার আবশ্যকতা বিষয়ে, শাস্ত্রীয় প্ৰমাণসম্বলিত বিচাবি রহিয়াছে। তৎপরে, অর্থ সহিত মূল উপনিষৎ এবং উহাব শেষভাগে ভাস্যোক্ত সমাধান বা সিদ্ধান্ত সকল বিবৃত হইয়াছে । ঈশোপনিষদের ইংবেজী অনুবাদ ১৮১৬ সালে, কঠোপনিষদ ও মাণ্ডুক্যোপনিষদের ইংরেজী অনুবাদ ১৮১৯ সালে, এবং কেনোপনিষদে ব ইংরেজী অনুবাদ। ১৮২৩ সালে প্ৰকাশিত হয়। হিন্দুসমাজে আন্দোলনের প্রবলতা এই সকল এবং অন্যান্য অনেক গ্রন্থ প্ৰকাশ হওয়াতে হিন্দুসমাজে আন্দোলন যারপরনাই প্ৰবল হইয়া উঠিল। যে বেদশাস্ত্র ভূদেব ব্ৰাহ্মণ ভিন্ন অপর কোন মানুষ্যেদ্ব স্পর্শ কবিবার অধিকার ছিল না, রামমোহন রায় তাহা মুদ্রিত কবিয়া মেচ্ছেবি হন্তে পৰ্য্যন্ত সমর্পণ করিলেন। যে ওঁ শব্দ কোন শূন্দ্রে উচ্চাবণ করিলে তাহার রসনা ছেদন করিয়া দেওয়া উচিত, রামমোহন রায় তাহাই আচণ্ডাল সকলের মুখে তুলিয়া দিতে চেষ্টা করিলেন। এতদূর যে কবিতে পারে, সে কোথায় গিয়া ক্ষান্ত হাইরে, কে জানে ? আস্থাবান পৌত্তলিকেরা যারপাবনাই শঙ্কিত হইলেন । ঘোবি কলি উপস্থিত । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দিগের ক্রোধের পরিসীমা থাকিল না। বিবাহ ও শ্রাদ্ধেব সভায়, নৈয়ায়িক, পৌরাণিক, স্মৰ্ত্ত সকলেই নাসারান্ধে, নস্যসংযোগসহকাবে রামমোহন রায়েব প্ৰতি অজস্র গালিবর্ষণ করিতে লাগিলেন। আমরা এক্ষণে দেখিতে পাই যে, খ্ৰীষ্টিয়ান পাদরীগণ বা দেশীয় অন্যান্য শিক্ষিত ব্যক্তিগণ কোন আন্দোলন উপস্থিত করিলে, উহা হিন্দুসমাজের অন্ত:স্তল স্পর্শ করে না। রামমোহন রায় জাতীয়ভাবে, দেশীয় শাস্ত্র অবলম্বন পূর্বক স্বমতপ্রচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন বলিয়া উহা হিন্দুসমাজকে বিচলিত করিয়াছিল। ৬/ঈশ্বরচন্দ্ৰ