পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত সঙ্গীতই একেশ্বরবাদীদিগের বিশ্বাস ও মতানুযায়ী। শঙ্করশাস্ত্রী কলিকাতাগেজেটে এই সংবাদ পাঠ করিয়া লিখিয়াছিলেন যে, চিত্তশুদ্ধির জন্য সভা করিয়া সঙ্গীত, বাদ্য ও নৃত্য করা কখনই শাস্ত্রানুযায়ী কাৰ্য্য নহে। উহা নিকৃষ্ট আমোদ মাত্র। রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে লিখিলেন যে, পরমেশ্বরের উপাসনার সময়ে নৃত্য করা যে শাস্ত্ৰে নাই, ইহা আমি স্বীকার করি । আমাদের উপাসনাতে কখনই নৃত্যু হয় না। কলিকাতা গেজেটে যে, নৃত্যের কথা লেখা হইয়াছে, উহা অমূলক সংবাদ । কিন্তু পরমেশ্বরের উপাসনার সময়ে সঙ্গীত হওয়া যে আবশ্যক, তাহাতে কোন সংশয় নাই । মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য উপাসনার সময়ে সঙ্গীত করিবার ব্যবস্থা দিয়াছেন। সঙ্গীতের দ্বারা যে, মানুষ্যের মনে কোন একটি বিশেষ ভাব দৃঢ় রূপে মুদ্রিত হয়, ইহা স্পষ্টই বুঝা যায়। সমগ্র মনুষ্যজাতির জন্য শাস্ত্ৰে কি মূৰ্ত্তিপূজার ব্যবস্থা হইয়াছে ? শঙ্করশাস্ত্রী বলিয়াছিলেন যে, সমগ্ৰ মনুষ্য জাতির মানসিক উন্নতির জন্য শাস্ত্ৰে প্ৰতিমূৰ্ত্তি পূজার ব্যবস্থা হইয়াছে। রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে বলেন যে, যে সকল ব্যক্তি নিরাকার পরমেশ্বরকে চিন্তা করিতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম, তাহদের জন্য শাস্ত্ৰে মূৰ্ত্তিপূজার ব্যবস্থা হইয়াছে, ইহা তিনি স্বীকার করেন ; কিন্তু সমগ্র মনুষ্যজাতির জন্য ঐ রূপ ব্যবস্থা হইয়াছে, ইহা সত্য নহে । রামমোহন রায় শঙ্কর শাস্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন যে, তুরস্ক এবং আরবদেশবাসী উচ্চতম শ্রেণী হইতে নিম্নতম শ্রেণী পৰ্য্যন্ত মুসলমানগণ, ইয়োরোপের প্রটেষ্টাণ্ট খ্ৰীষ্টিয়ানগণ এবং কবীর ও নানকের অনেক শিষ্য, মূৰ্ত্তি ব্যতীত কি পরমেশ্ববের উপাসনা করেন না ? যখন তাহারা মূৰ্ত্তি ব্যতীত পরমেশ্বরের উপাসন! কবিতেছেন, তখন