পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “ভগবান বেদব্যাসও এইরূপ বেদান্তের দ্বিতীয় সুত্রে, তটস্থ লক্ষণে ব্ৰহ্মকে বিশ্বের সৃষ্টিস্থিতিপ্ৰলয়কর্তৃত্ব গুণের দ্বারা নিরূপণ করিয়াছেন। কিন্তু তটস্থ লক্ষণে ব্ৰহ্মকে সগুণ কহাতে সাকার করা হয়, এমত নহে । বস্তুতঃ অন্য অন্য সূত্রে এবং নানা শ্রুতিতে তাহার সগুণৰূপে বর্ণনের অপবাদকে দূর কবিবার নিমিত্তে কহেন যে, ব্রহ্মেব কোন প্ৰকাবে দ্বিতীয় নাই, কোন বিশেষণেব দ্বারা তঁহার স্বরূপ কহ যায় না, তবে যে তাহাকে স্রষ্টা পাতা সংহৰ্ত্তিা ইত্যাদি গুণের দ্বারা কহা যায়, সে কেবল প্ৰথমাধিকাৰীব বোধের নিমিত্ত ।” “যতোবাচোনিবৰ্ত্তন্তে অপ্ৰাপ্য মনসাসহ ।” শ্রীতি । মনেব সহিত বাক্য র্যাহার স্বরূপকে না জানিয়া নিবৰ্ত্ত হয়েন । দশয়তি চাথোহাপি চ স্মৰ্য্যতে । বেদান্তসূত্ৰং । ব্ৰহ্ম নির্বিশেষ হয়েন। ইহা অর্থ অবধি কবিয়া বেদে দেখাইতেছেন; স্মৃতিও এইরূপ কহোন । ব্ৰহ্মোপাসনা কি ভ্ৰমাত্মক ? “বেদান্তচন্দ্ৰিকায় অন্য অন্য স্থানে ভট্টাচাৰ্য্য যাহা লিখেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, ব্রহ্মোপাসনা সাক্ষাৎ হইতে পারে না। যেহেতু উপাসনা ভ্ৰমাত্মক জ্ঞান হয় । অতএব সাকার দেবতাবেই উপাসনা হইতে পারে, যেহেতু, সে ভ্ৰমাত্মক জ্ঞান। উত্তর । দেবতার উপাসনাকে যে ভ্ৰমাত্মক কহিয়াছেন, তাহাতে আমারদিগের হানি নাই ; কিন্তু উপাসনামাত্ৰকে ভ্ৰমাত্মক কহিয়া ব্রহ্মোপাসনা হইতে জীবকে বহিন্মুখ করিবার চেষ্টা করেন, ইহাতে আমারদিগের, আর অনেকের, সুতরাং হানি আছে। যেহেতু, ব্ৰহ্মের উপাসনাই মুখ্য হয়, তদ্ভিন্ন মুক্তির কোন উপায় নাই । জগতের সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের দ্বাবা পরমাত্মার সত্তাতে নিশ্চয়