পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার Σ Σ Σ উপাসনা, সে ঈশ্বরের গৌণ উপাসনা হয়। ইহা দেখিয়াও ভট্টাচাৰ্য্য প্ৰলাপের কথা কাহেন, আমারদিগের ইহাতে সাধ্য কি ? কিন্তু এ স্থলে জানা কৰ্ত্তব্য যে, আত্মার শ্রবণ মাননাদি বিনা কোন এক অবয়বীকে সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম জানিয়া উপাসনা করাতে কদাপি মুক্তিভাগী হয় না, সকল শ্রুতি এক বাক্যতায় ইহা প্ৰতিপন্ন করিয়াছে।” ইত্যাদি । ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন বস্তু নাই ; সুতরাং যে কোন বস্তুর উপাসনা করিলে ব্রহ্মোপাসনা হয়। কিনা ? আর লেখেন যে, “ঐ এক উপাস্য সগুণ ব্ৰহ্ম এই জগতের সৃষ্টি ১ ও প্ৰলয় করিতেছেন, ইহাতে র্তাহ হইতে ভিন্ন বস্তু কি আছে যে, তাহার উপাসনা কি রাতে র্তাহাব উপাসনা সিদ্ধ হইবেক না,” উত্তাব ; জগতে ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন বস্তু নাই, অতএব যে কোন বস্তুর উপাসনা ব্ৰহ্মোদেশে করিলে যদি ব্রহ্মের উপাসনা সিদ্ধ হইতে পারে, তবে এ যুক্তি ক্ৰমে কি দেবতা, কি মনুস্থ, কি পশু, কি পক্ষী সকলেরই উপাসনার তুল্যরূপে বিধি পাওয়া গেল । তবে নিকটস্থ স্থাবর জঙ্গম ত্যাগ করিয়ু দূরস্থ দেবতা বিগ্রহের উপাসনা কষ্টসাধ্য এবং বিশেষ প্রয়োজনাভাব । অতএব, তাহাতে প্ৰবৃত্ত হওয়া যুক্তিসিদ্ধ নহে। যদি বল, দূরস্থ দেবতাবিগ্ৰহ এবং নিকটস্থ স্থাববিজঙ্গমের উপাসনা করিলে তুল্যরূপেই যদ্যপি ঐ সর্বব্যাপী পরমেশ্ববের আরাধনা সিদ্ধ হয়, তথাপি শাস্ত্রে ঐ সকল দেববিগ্রহেব পূজা করিবার অনুমতির আধিক্য আছে ; অতএব শাস্ত্রানুসারে দেববিগ্রহের পূজা করিয়া থাকি। তাহার উত্তর ; যদি শাস্ত্রানুসারে দেববিগ্রহের উপাসনা কৰ্ত্তব্য হয়, তবে ঐ শাস্ত্রানুসারেই ? বুদ্ধিমান ব্যক্তির পরমাত্মার উপাসনা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য, কারণ শাস্ত্ৰে