পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কহিয়াছেন যে, যাহার বিশেষ বোধাধিকার এবং ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা নাই, সেই ব্যক্তিই কেবল চিত্তস্থিরের জন্য কাল্পনিক রূপে উপাসনা করিবেক, আর যিনি বুদ্ধিমান ব্যক্তি, তিনি আত্মার শ্রবণমনন রূপ উপাসনা করিবেন ।

  • iठूक्ष भानि८ल मर्दी भान्मिgङ श्रुग्न ।'

সৃষ্টপদার্থকে ঈশ্বরজ্ঞানে পূজা করিলে প্ৰকৃত शब्लक्लाऊ रुक्षू दि का ? অন্য এক স্থলে ভট্টাচাৰ্য্য প্রশ্ন করিয়াছেন, “যদি সর্বত্র ব্ৰহ্মময় স্মৃৰ্ত্তি না হয়, তবে ঈশ্ববোব সৃষ্ট এক এক পদার্থকে ঈশ্বববোধ করিয়া উপাসনা করিলেও ফলসিদ্ধি অবশ্য হয়। আপনাব বুদ্ধিদোষে বস্তুকে যথাৰ্থৰূপে না জানিলে ফলিসিদ্ধির হানি হইতে পারে না । যেমন, স্বপ্নেতে মিথা ব্যস্ত্ৰাদি দর্শনে বাস্তব ফল প্ৰত্যক্ষ কি না হয় ?” ইহাব উত্তাব । “ভট্টাচাৰ্য্য আপন অনুগতদিগকে উত্তম জ্ঞান দিতেছেন যে, ঈশ্বরেব সৃষ্টকে আপন বুদ্ধিদোষে ঈশ্বরজ্ঞান কবিলেও স্বপ্নেবি ব্যাভ্ৰাদি দর্শনের ফলের ন্যায় ফলিসিদ্ধি হয় । কিন্তু ভট্টাচাৰ্য্যের অনুগতিদিগের মধ্যে, যদি কেহ সুবোধ থাকেন, তিনি অবশ্য এই উদাহবণেব দ্বারা বুঝিবেন যে, স্বপ্নেতে ভ্ৰমাত্মক ব্যাস্ত্ৰাদি দর্শনেতে যেমন ফলসিদ্ধি তয়, সেইরূপ ফলসিদ্ধি, এই সকল কাল্পনিক উপাসনার দ্বাবা হইবেক । স্বপ্ন ভঙ্গ হইলে, যেমন সেই স্বপ্নেবি সিদ্ধ ফল নষ্ট হয়, সেইরূপ ভ্ৰমনাশ হইলেই ভ্ৰমজন্য উপাসনাব ফলও নাশকে পায় । যখন ভট্টাচায্যের উপদেশদ্বারা তাহার কোন সুবোধ শিষ্য ইহা জানিবেন, তখন যথার্থ জ্ঞানাধীন যে ফল সিদ্ধ হয়, আর যে ফলেব কদাপি নাশ নাই, তাতার উপাৰ্জনে অবশ্য সেই ব্যক্তি প্ৰবৃত্ত হইতে পারেন।”