পণ্ডিতগণের সহিত বিচার ܠ ܠ [ উপাধি জীবের বন্ধনের কারণ। জীবমাত্রেরই, আত্মা বা ব্ৰহ্মাংশে পূজা, আরাধনা বা উপাসনা করা যাইতে পারে। শাস্ত্রের বিধিই এই যে, আমরা আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মার উপাসনা করি । উপাসনা ‘সোহহং* আমি অর্থাৎ আমার আত্মা ব্ৰহ্ম, এইভাবে উপাসনা ។ ঔপধিক জীবভিাব অবশ্য ব্ৰহ্ম নহে । সুতরাং দেবতাদিগের ཨ་ཅ་ཐ ठ9ानना কোন দোষ নাই । যিনি সর্বময়, অদ্বিতীয় আত্মাকে জানিয়াছেন, তিনি আত্মারই উপাসনা করিবেন। দেবতাদের জীবভাব বা মায়িক উপাধি ( বা দেববিগ্ৰহ ) অথবা আমাদের মায়িক উপাধি, অর্থাৎ আমাদের শরীর, মন এ সকলের কিছুরই উপাসনা করিবেন না । দেবতাদের এবং দেবতাদের অবতারদিগেব জীবত্ব বা মায়িক উপাধি বা বিগ্রহের পূজা করা যাইতে পারে কি না, ইহার বিচার করা আবশ্যক । দেবতাদিগের অথবা তাহাদিগের অবতারগণের বিগ্ৰহ, জলস্থলাদির ন্যায়, ঈশ্বরের মায়া বা প্রকৃতির। কাৰ্য্য। ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও তঁহাদের অবতারগণের বিগ্ৰহ, জন্য, নশ্বর ও পরিমিত । * মায়ার কাৰ্য্য বলিয়া দেববিগ্ৰহ, আমাদের শরীরের ন্যায়, পারমার্থিক ভাবে মিথ্যা । সুতরাং দেববিগ্ৰহ উপাস্ত্য নহে। ব্রহ্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তি, অর্থাৎ যিনি ব্ৰহ্মকে নিত্য নিরাকার ও সর্বব্যাপী বলিয়া জানিয়াছেন, তিনি মানসন্ধ্যানাদিদ্বারা কিম্বা প্রতিমা অবলম্বন করিয়া, এই সকল দেববিগ্রহের পূজা, আরাধনা বা উপাসনা কখন করিবেন না। মূৰ্ত্তিধ্যান বা প্ৰতিমা অবলম্বন করিয়া দেবতার পূজা তাহার পক্ষে নিষিদ্ধ। যিনি বুঝিয়াছেন যে, প্রতিমা ব্ৰহ্মের রূপকল্পনা, সুতরাং মিথ্যা, তাহারও পক্ষে প্ৰতিমাপূজা নিষিদ্ধ। কিন্তু যে ব্যক্তি মূর্থি, যে পরমেশ্বরকে অজড় ও সর্বব্যাপী বলিয়া
- রাজার গ্রন্থের ৬৯৪ পৃঃ দেখ।
