পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ইহার উত্তরে রাজা রামমোহন রায় বলিতেছেন,-“আমরা যে সকল গ্ৰন্থ এপৰ্য্যন্ত বিবরণ করিয়াছি, তাহাতে ইহাই পরিপূর্ণ আছে যে, ব্ৰহ্ম সর্বব্যাপী, কোন বস্তু পরমাত্মা হইতে ভিন্ন স্থিতি করে না, ব্রহ্মের উদেশে দেব, মনুষ্য, পশু, পক্ষীরও উপাসনা করিলে ব্রহ্মের গৌণ উপাসনা হয়, এবং ঐ সকল গৌণ উপাসনার অধিকারী কোন কোন ব্যক্তি ইহাও লিখিয়াছি। এ সকল দেখিয়াও ভট্টাচাৰ্য্য এরূপ লেখেন, ইত জ্ঞানবান লোকের বিবেচনা করা কীৰ্ত্তব্য । তবে যে আমরা, কি দেবতার, কি মানুষ্যের, কি অন্নের, কি মনের স্বতন্ত্র ব্ৰহ্মত্ব সৰ্ব্বথা নিষেধ করিয়াছি, সে কেবল বেদান্ত মতানুসারে এবং বেদসম্মত যুক্তিদ্বারা । যেহেতু, ব্ৰহ্মের আরোপে যাবৎ মায়াকাৰ্য্য নােমরূপের ব্ৰহ্মত্ব স্বীকাব করা যায়, মায়িক নাম রূপাদি স্বতন্ত্র ব্ৰহ্ম কদাপি নহে । ‘নেতিরোহনু পাপত্তে: ||” বেদান্ত সুত্ৰং ॥ ইতির অর্থাৎ জীব, আনন্দময় জগৎকারণ হয়েন না, যেহেতু, জগতের সৃষ্টি করিবার সংকল্প জীবে আছে, এমত বেদে কহেন নাই । “ভেদব্যপদেশাচান্যঃ ॥’ বেদান্ত সুত্ৰং ॥ সূৰ্য্যান্তৰ্ব্বত্তী পুরুষ, সুৰ্য্য হইতে ভিন্ন হয়েন, যেহেতু, সুৰ্য্যের এবং সূৰ্য্যান্তর্বত্তীর ভেদ কথন বেদে আছে।” ভট্টাচাৰ্য্য বলেন,-“যদি কেহ বলে যে, বেদান্তে সকলই ব্ৰহ্ম ৰলিয়াছেন, তাহাতে বিহিত অবিহিত বিভাগ কি ? তবে কি কৰ্ত্তব্য বা কি অকৰ্ত্তব্য, কি ভক্ষ্য বা কি অভক্ষ্য, কি গম্য বা কি অগম্য, যখন যাহাতে আত্মসন্তোষ হয়, তাহাই কৰ্ত্তব্য, যাহাতে অসন্তোষ হইবে, তাহা অকৰ্ত্তব্য ।” রাজা রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে বলিতেছেন --س ব্যক্তি এমত কহোঁ যে, সকলই ব্ৰহ্ম তাহাতে অবিহিতের বিভাগ কি ? তাহার প্রতি ভট্টাচাৰ্য্যের এ আশঙ্কা করা যুক্ত হইতে পারে। কিন্তু