পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার ܘ ܠܹ সৃষ্টিস্থিতিভঙ্গ দেখিয়া, আর জড়ম্বরূপ শরীরের প্রবৃত্তি দেখিয়া, এই সকলের কারণ যে পরব্রহ্ম তাহার সত্তাকে নিরূপণ করেন ।” তৎপরে, রামমোহন রায়, কোন জ্ঞানী গুরুর নিকট গমন করিয়া ব্ৰহ্মতত্ত্ব বিষয়ে উপদেশ গ্ৰহণ করিতে বলিতেছেন ;-“যদি এই প্রশ্নের উত্তরকে, প্রশ্নোত্তরের দ্বাৰা বিশেষ মতে কোন জ্ঞানীর নিকট আপনকার জানিবার ইচ্ছা হয়, তবে মুণ্ডকোপনিষদের শ্রুতি এবং গীতাস্মৃতির অর্থের আলোচনা করিয়া যাহা কৰ্ত্তব্য হয় তাহা করিবেন। মুণ্ডকোপনিষৎ শ্রুতি :- তদ্বিজ্ঞানার্গং স গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ সমিৎপাণিঃ শ্রোত্ৰিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠং । সেই ব্ৰহ্মতত্ত্ব জানিবার নিমিত্ত বিনয়পূর্বক বেদজ্ঞ ব্ৰহ্মনিষ্ঠ গুরুর নিকট যাইবেক । গীতাস্মৃতি :- তদ্বিদ্ধি প্ৰণিপাতেন পবিপ্রশ্নেন সেবিয়া । প্ৰণিপাত ও সেবা ও প্রশ্নের দ্বারা জ্ঞানীব নিকটে তত্ত্বজ্ঞানকে জানিবেক । p ব্ৰহ্মকে নিরাকার বলিয়া জ্ঞান, কুজ্ঞান কি না ? গোস্বামী লেখেন যে, “তোমাদের যদি কোন বেদান্ত ভাষ্য অবলোকনের দ্বারা ব্ৰহ্ম নিরাকার এমত জ্ঞান হইয়া থাকে, তবে সে কুজ্ঞান।” উত্তর ,-“কেবল ভগবৎ পূজ্যপাদের ভায্যেই ব্ৰহ্মকে আকারবহিত করিয়া কহিয়াছেন, এমত নহে। কিন্তু তাবৎ উপনিষদে ও বেদান্তসুত্রে - ব্ৰহ্মকে নামরূপের ভিন্ন করিয়া স্পষ্টরূপে এবং প্ৰসিদ্ধশব্দে সর্বত্ৰ কহোন।