পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVOR মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তৃতীয়তঃ, এদেশে পুরাণ সকলের প্রায় পরস্পরা প্রচার নাই এবং সুলভ সংস্কৃতে অনায়াসে পুরাণেব ন্যায় বচনের রচনা হইতে পারে। এই সুবিধা পাইয়া এতদেশীয় বৈষ্ণবোবা যেমন শ্ৰীভাগবতকে বেদান্তসুত্ৰেব ভাষ্য বলিয়া প্ৰমাণ করিবার নিমিত্ত গরুড় পুরাণের বচনের রচনা করিয়াছেন, আর দুই তিন শত বৎসর মধ্যে র্যাহাঁদের জন্ম এবং র্যাহারা অন্য দেশে অপ্ৰসিদ্ধ, এমন নূতন নুতন ব্যক্তিকে অবতাব বলিয়া প্ৰতিপন্ন করিবার নিমিত্ত, ভবিষ্য ও পদ্মপুরাণের বচন বলিয়া কল্পিত বচন সকল লিখিয়াছেন, সেইরূপ, কোন কোন শাক্ত শ্ৰীভাগবতকে পুরাণ বলিযা অপ্রমাণ কবিবােব জন্য এবং কালীপুরাণকে প্রকৃত ভাগবতরূপে স্থাপন কবিবােব উদ্দেশ্যে স্কন্দপুবাণীয় বচন প্ৰকাশ কবিয়াছেন। সেই বচন এই :- ভগবত্যাঃ কালিকায়াঃ মাহাত্ম্যং যত্র বর্ণ্যতে । নানা দৈত্যবধোপেতং তদ্বৈ ভাগবতং বিদু: | কলৌ কেচিদুবাত্মানো ধূৰ্ত্ত বৈষ্ণবমানিন: | অন্যম্ভাগবতং নাম কল্পয়িষ্যন্তি মানবাঃ । যে গ্রন্থে নানা অসুবি বধেব সহিত ভগবতী কালিকাব মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে, তাহাকেই ভাগবত বলিয়া জানিবে। কলিযুগে বৈষ্ণবাভিমানী ধূৰ্ত্ত দুরাত্মা লোক সকল ভগবতীর মাহাত্ম্যযুক্ত গ্ৰন্থকে ভাগবত না বলিয়া অন্য ভাগবত কল্পনা করিবে । অতএব, পূর্ব পূর্ব গ্ৰন্থকারেব অধুত বচন সকলকে শুনিবা মাত্র যদি পুরাণ বলিয়া মান্য করা যায়, তাহা হইলে পূর্বেব লিখিত বৈষ্ণবের রচিত বচন এবং ঐ রূপ শাক্তের রচিত বচন, এ দুয়ের পরস্পর বিরোধ হইয়া শাস্ত্রের অপ্রামাণ্য, অর্থের অনির্ণয় এবং ধৰ্ম্মের লোপ উপস্থিত হয়। অতএব, যে সকল পুরাণের ও ইতিহাসেব সর্বসম্মত টীকা না থাকে,