পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার У ОФ করিয়া নিশ্চয় হইতেছে যে, বেদান্তসুত্রের সহিত শ্ৰীভাগবতের সম্পর্কমাত্ৰ নাই । কেহ কেহ বলিতে পারেন যে, কোন কোন বৈষ্ণবপণ্ডিত বুৎপত্তিবলে বেদান্তসুত্রের অক্ষর সকলকে খণ্ড খণ্ড করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণপক্ষে ব্যাখ্যা করিয়াছেন ;-শ্ৰীকৃষ্ণের রাসলীলাদি বেদান্তসূত্র হইতে ব্যাখ্যা করিয়াছেন । রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে বলিতেছেন,-বৈষ্ণবপণ্ডিতের ন্যায় কোন কোন শৈবপণ্ডিত বুৎপত্তিবলে বেদান্তসুত্রের শিবপক্ষে ব্যাখ্যা করিয়াছেন। বেদান্তসুত্রেব অক্ষর ভাঙ্গিয়া শিবের কোচবিধূর সহিত লীলা ব্যাখ্যা করিয়াছেন। সেইরূপ আবার কোন কোন শাক্ত, বিষ্ণুপ্ৰধান শ্ৰীভাগবতকে কালীপক্ষে ব্যাখ্যা করিয়াছেন। এইরূপ বুৎপত্তি-বলে, প্ৰসিদ্ধ অর্থ ত্যাগ করিয়া ব্যাখ্যা করিলে, কোন শাস্ত্রের কি তাৎপৰ্য্য, তাহা স্থির হইতে পারে না ; শাস্ত্রের প্রামাণ্য নষ্ট হইয়া যায় । পঞ্চমতঃ, দর্শনকার সকল, আপনার আপনার দর্শনের ভাষ্য নিজে কেহ করেন নাই ; অন্যান্য আচাৰ্য্যেরা করিয়াছেন । এই রীতির দ্বারাও বুঝা যাইতেছে যে, বেদান্তসুত্রের ভাষ্য বেদব্যাস নিজে করেন নাই ।। ৫ ষষ্ঠত:, গৌতম, কণাদ, জৈমিনি প্ৰভৃতি দর্শনকারগণ বেদব্যাসের সমকালীন ব্যক্তি ছিলেন । তাহদের ভাষ্যকারের নিজ নিজ গ্রন্থে বেদান্তমতকে অদ্বৈতবাদ বলিয়াছেন। কিন্তু শ্ৰীভাগবতের যিনি প্ৰতিপাদ্য, তাহার পরিমিত রূপ,-তিনি সাকার গোপীজনবল্লভ । তিনি বেদান্তের প্রতিপাদ্য, এমন কেহ বলেন নাই । সপ্তমতঃ, ভগবান মন্স, বেদের অধ্যাত্মকাণ্ডের অর্থের ব্যাখ্যা করিতে গিয়া বেদান্তসম্মত অদ্বিতীয়, সর্বব্যাপী, পরমাত্মাকেই প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন। ভাগবতের হস্তপাদাদিবিশিষ্ট পরিমিত বিগ্রহকে প্ৰতিপন্ন করেন নাই। মনুর অর্থের বিপরীত যে বাক্য,তাহা গ্ৰাহী নহে; সুতরাং ভাগবত