পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S \b- মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তন্ত্রের পরস্পর বিরোধে কোন শাস্ত্রের প্রামাণ্য থাকে না । শিব ও বিষ্ণুর প্রতারকত্ব উপস্থিত হইয়া চাতুর্বণ্যের ধৰ্ম্মলোপ হয় । শাস্ত্রের বিরোধ ও তাহার মীমাংসা শাস্ত্রের এই প্রকার বিরোধ প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য রামমোহন রায় বিভিন্ন শাস্ত্ৰ হইতে শ্লোক উদ্ধৃত করিতেছেন। কুলাবতী তন্ত্রে আছে ;- বেদা বিনিন্দিতা যম্মাৎ বিষ্ণুনা বুদ্ধরূপিণী ৷ হরোনাম ন গৃহীয়াৎ ন স্মৃশোক্ত লসীদলং। ন স্মৃশেৎ তুলসীপত্ৰং শালগ্ৰামৰ্পণ নাৰ্চয়েৎ || * গীতায় বিষ্ণুমাহাক্স্যে :- মত্ত: পর তরং নান্য ২ কিঞ্চি দস্তি ধনঞ্জয় । অর্থাৎ বিষ্ণু সর্বশ্রেষ্ঠ হযেন । দেবীমাহাষ্ম্যে :- একৈবাহং জগত্যন্ত্ৰ দ্বিতীয়া কা মমাপার। অর্থাৎ দেবী সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে না ! শিবমাহান্ত্ৰ্যে, মহেশ্বরগীত :- প্ৰতিপাদ্যোহস্মি নান্যোস্তি প্ৰভুর্জাগতি মাংবিনা । অর্থাৎ মহাদেব সর্বশ্রেষ্ট হয়েন । ইন্দ্ৰমাহাক্স্যে, বৃহদারণ্যক :- তং মামায়ুর মৃতমিতু্যপাস্ব মামেব বিজানীহি ইতি । অর্থাৎ ইন্দ্র সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েন ।

  • বিষ্ণু বুদ্ধরূপ ধারণ করিয়া বেদের নিন্দা করিয়াছেন ; সুতরাং হরিনাম গ্ৰহণ করিবে না; তুলসীদল স্পর্শ করিবে না, তুলসীপত্রও স্পর্শ করিবে না, শালগ্রামেরও

অৰ্চনা করিবে না ।