পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8o মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত টীকাকে মান্য করিয়াছেন। * শ্ৰীধর স্বামী বলিতেছেন যে, তিনি শঙ্কর ও র্তাহার শিষ্যগণের মতানুসারেই টীকা লিখিয়াছেন। শ্ৰীধর স্বামী স্বয়ং গীতার টীকাতে লিখিতেছেন :- ভাষ্যকারমতং সম্যক তদ্ব্যাখ্যাত্তগিরিস্তথা ইত্যাদি । ভাষ্যকারের মত ও ভায্যের টীকাকারদিগের মতকে আলোচনা করিয়া যথামতি গীতা ব্যাখ্যা করি । শ্ৰীধর স্বামী শ্ৰীভাগবতের টীকাতেও লিখিতেছেন ;- সম্প্রদায়ানুসারেণ পূৰ্ব্বাপৰ্য্যানুসারত ইত্যাদি। অতএব, ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্যের মতকে মোহজনক বলিলে, চৈতন্যদেব ও শ্ৰীধর স্বামী প্ৰভৃতি সেই সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীদিগকে মুগ্ধ বলিয়া স্বীকার করিতে হয়, এবং ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্যের মতানুসারে শ্ৰীধর স্বামীর যে সকল টীকা লিখিত হইয়াছে, তাহাই বা কেমন করিয়া মান্য হইতে পারে ? অতএব, শ্ৰীমৎ শঙ্কবাচাৰ্য্যের নিন্দ করাতে এতদেশীয় বৈষ্ণবদিগের ধৰ্ম্মের মূলাচ্ছেদ হইয়া যায়। ভগবানের আনন্দনিৰ্ম্মিত সাকারমূৰ্ত্তি সম্ভব কি না ? বৈষ্ণবপণ্ডিতগণের মত এই যে, পরব্রহ্ম সাকার কৃষ্ণমূৰ্ত্তি। সে আকার মায়িক নহে, আনন্দের মূৰ্ত্তি। ঐ আনন্দনিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি কেবল ভক্তজনের চক্ষুগোচর হয়। রাজা রামমোহন রায়ের সহিত যে গোস্বামী মহাশয়ের বিচার হইয়াছিল, তিনিও ঐ কথা বলিয়াছেন যে, পরব্রহ্ম সাকার কৃষ্ণমূৰ্ত্তি এবং উহা আনন্দনিৰ্ম্মিত। একথার উত্তরে রাজা যাহা বলেন,

  • শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে আছে যে, কোন ব্যক্তি শ্ৰীধর স্বামীর টীকা অগ্ৰাহা করিলে, শ্ৰীচৈতন্য বিদ্রুপ করিয়া বলিলেন, স্বামীকে যে মানে না সে ব্যভিচারিণী ।