পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত এইরূপ প্ৰতিপন্ন হইতেছে বটে, কিন্তু ঈশ্বববিষয়ে তর্ক করা কীৰ্ত্তব্য নয়। রাজা রামমোহন রায় এ কথার যে উত্তর দিয়াছেন তাহার সারমর্ম এই ;-বেদবিরুদ্ধ তর্ক অবশ্য নিষিদ্ধ ; কিন্তু বেদসম্মত তর্কের দ্বারা বেদার্থনির্ণয় করা সৰ্ব্বথা কৰ্ত্তব্য । শ্রুতি সকল পরমেশ্বরকে অরূপ, অদ্বিতীয়, অচিন্ত্য, অগ্ৰাহ, অতীন্দ্ৰিয়, সর্বব্যাপী বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন, এবং ব্ৰহ্ম ভিন্ন সমুদয় পদার্থকে ক্ষুদ্র, নশ্বর ও নিবানন্দ বলিয়াছেন। মহর্ষি বেদব্যাস এবং শঙ্করাচাৰ্য্য প্ৰভৃতি সকলেই বেদের এই অভিপ্ৰায়কে যুক্তির দ্বারা দৃঢ় করিয়াছেন ; আমরাও তদনুসারে বেদসম্মত তর্কের দ্বারা বেদার্থের সমর্থনা করিতেছি । এ বিষয়ে মনু বলিতেছেন :- আৰ্যং ধৰ্ম্মোপদেশঞ্চ বেদশাস্ত্রবিরোধিন । যস্তর্কেণানুসন্ধাত্তে সী ধৰ্ম্মঃ বেদনে তব: | যে ব্যক্তি বেদ ও স্মৃত্যাদি শাস্ত্ৰকে বেদসম্মত তর্ক দ্বারা অনুসন্ধান কবে, সেই ব্যক্তি ধৰ্ম্মকে জানে, ইতর ব্যক্তি জানে না । বৃহস্পতি বলিতেছেন :- কেবলং শাস্ত্ৰমাশ্রিত্য ন কৰ্ত্তব্যে বিনির্ণয়: । যুক্তিহীন বিচারেণ ধৰ্ম্মহানিঃ প্ৰজায়তে ॥ কেবল শাস্ত্র অবলম্বন করিয়া অর্থের নির্ণয় কবিবে না, যেহেতু তর্ক বিনা শাস্ত্ৰাৰ্থ নিৰ্ণয় করিলে ধৰ্ম্মের হানি হয় । শ্ৰীকৃষ্ণই কি ব্ৰহ্ম ? অথবা শাস্ত্ৰে যাহাদিগকে ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে, তাহারা সকলেই কি ব্ৰহ্ম ? গোস্বামী বলিয়াছেন যে, গোপালতাপনী ও শ্ৰীভাগবত প্ৰভৃতি পুরাণে সাকার বিগ্রহ কৃষ্ণকেই ব্ৰহ্ম বলিতেছেন ; অতএব সাকার কৃষ্ণই সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম। রাজা রামমোহন রায় ইহাব উত্তরে যাহা বলিতেছেন, তাহার