পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার S8\O সার মৰ্ম্ম এই :-যদি শাস্ত্ৰে, সকল সাকারেব মধ্যে কেবল কৃষ্ণকেই ব্ৰহ্ম বলিতেন, তাহা হইলে একথা গ্ৰাহ হইতে পারিত । কিন্তু বৈষ্ণবেরা যেমন গোপালতাপনী ও শ্ৰীভাগবতের প্রমাণ অনুসারে শ্ৰীকৃষ্ণকে ব্ৰহ্ম বলেন, সেইরূপ শাক্তের দেবী সূক্ত প্ৰভৃতি গ্রন্থেব প্ৰমাণানুসারে কালিকাকে ব্ৰহ্ম বলিয়া থাকেন। কৈবল্যোপনিষৎ, শতরুদ্রী, শিবপুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্ৰে মহেশ্ববিকে ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন । ছান্দোগ্য, বৃহদারণ্যক প্রভৃতি শ্রুতি সকলে ব্ৰহ্মা, সুৰ্য্য, অগ্নি, প্ৰাণ, গায়ত্রী, অন্ন, মন, আকাশ ইত্যাদিকে ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন। পুরাণের মধ্যে যেমন শ্ৰীভাগবতে শ্ৰীকৃষ্ণকে ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন, সেইরূপ শিবপুরাণ প্রভৃতিতে মহাদেবকে, এবং কালীপুরাণ প্ৰভৃতিতে, কালিকাকে, এবং শাম্বপুরাণ প্ৰভৃতিতে সুৰ্য্যকে বিশেষরূপে ব্ৰহ্ম বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। মহাভারতে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, শিব তিনকেই ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন। অতএব, গোপালতাপনী ও শ্ৰীভাগবতের প্ৰমাণানুসারে যদি দ্বিভূজ মূবলীধর কৃষ্ণবি গ্রহকে সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম বলিয়া মানা হয়, তবে ব্ৰহ্মা, সদাশিব, সূৰ্য্য, অগ্নি প্ৰভৃতিকে বেদ ও পুরাণাদির প্ৰমাণানুসাবে সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম বলিয়া কেন না। স্বীকার করা হয় ? যদি বলেন যে, পুরাণাদিতে অন্য সকলের অপেক্ষা শ্ৰীকৃষ্ণকে অধিক স্থানে ব্ৰহ্ম বলা হহয়ছে, সুতরাং শ্ৰীকৃষ্ণই সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম, একথার উত্তর এই যে, র্যাহাঁদের নিকট বেদ ও পুরাণ প্রমাণ বলিয়া গণ্য, তাহারা এমন বলেন না যে, বেদাদি শাস্ত্ৰে যাহা বারম্বার বলিবেন, তাহাই মান্য এবং দুই একবার যাহা বলিবেন, তাহা মান্য নহে। যাহার বাক্য প্ৰমাণস্বরূপ গ্ৰহণ করিতে হয়, তিনি একবার যে কথা বলেন, তাহাও প্ৰমাণ বলিয়া স্বীকাৰ্য্য । 譬 গোস্বামীর সহিত বিচারে, রামমোহন রায় শ্ৰীকৃষ্ণ সম্বন্ধে এইরূপ - বলিতেছেন,-“অন্য অপেক্ষা করিয়া বেদে পুরাণে শ্ৰীকৃষ্ণকে বাহুল্যরূপে