পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পুত্র অমাত্যকে জ্ঞানোপদেশদ্বারা ধৰ্ম্মনিষ্ঠ কবিয়া কালাহরণ করেন, র্তাহার, পুনরাবৃত্তি নাই । এ বিষয়ে তিনি মনু হইতেও প্ৰমাণ উদ্ধৃত করিয়াছেন । পুস্তক ছাপাইয়া ঘরে ঘরে বিতরণ করা দোষ কি না ? কবিতাকার রামমোহন রায়ের প্রতি এই দোষারোপ করেন যে, তিনি পুস্তক ছাপাইয়া ঘরে ঘরে বিতরণ করিয়া লোককে জ্ঞান দিতে চাহেন। এ কথার উত্তবে বামমোহন রায় যাহা বলিয়াছেন তাহার সারমর্ম এই যে, আমরা শাস্ত্রানুসাবেই পুস্তক বিতৰণ করিতেছি । এ বিষয়ে তিনি শাস্ত্রীয় প্রমাণ উদ্ধৃত কবিয়াছেন । বেদাথং যজ্ঞশাস্ত্ৰাণি ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰাণি চৈব হি । মূল্যেন লেখায়িত্ব যে দদ্যান্দেতি স বৈ দিবং ॥ যে ব্যক্তি বেদার্থ ও যজ্ঞশাস্ত্র এবং ধৰ্ম্মশাস্ত্র মূল্যদ্বাবা লেখাইয়া দান কবে, সে স্বৰ্গে যায় । বৃহদারণ্যক উপনিষদ হইতেও এ বিষয়ে প্রমাণ দিয়াছেন । যবিনাদির ন্যায় বস্ত্ৰ পরিধান করা দোষ কি না ? কবিতাকাব রামমোহন রায়ের প্রতি আর এক দোষারোপ করেন যে, তিনি যবনাদির ন্যায় বস্ত্ৰ পবিধান করিয়া দরবারে যান। রামমোহন রায় একথার উত্তবে বলিয়াছেন যে, “ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম এ সকল অন্তঃকরণবৃত্তি ; পরিধানাদির সহিত তাহার কি সম্পর্ক আছে ? দ্বিতীয়তঃ, শিল্পবস্ত্ৰমাত্ৰই যদি ষবনের পোষাক হয়, তবে কবিতাকার এবং তঁহার পৌত্তলিক বন্ধুগণ শিল্পবস্ত্ৰ পরিধান করিয়া দরবারে গমন করেন কেন ? একথার উত্তরে কবিতাকার যদি বলেন যে, পৌত্তলিকের পক্ষে উহাতে দোষ নাই, ব্ৰহ্মোপাসকের পক্ষে দোষ আছে, তাহা হইলে তিনি ইহার শাস্ত্রীয়