পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পূর্বেই ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা হইতে পারে। “ অথাতে ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা।” এই প্রথম সুত্রের ব্যাখ্যানে আচাৰ্য্য লেখেন - ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসায়াঃ প্ৰাগপি অধীতবেদান্তস্য ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসোপাপত্তে: | কৰ্ম্মানুষ্ঠানের পূর্বেও যে ব্যক্তি বেদান্ত অধ্যয়ন করিয়াছে, তাহার ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা হইতে পারে। রাজা রামমোহন রায় অন্যান্য শাস্ত্ৰ হইতেও এ বিষয়ে প্রমাণ প্রয়োগ করিয়াছেন তিনি বলিতেছেন, যাহার ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হয়, ইহ জন্ম বা পূৰ্ব্বজন্মেব কৰ্ম্ম দ্বারা উপযুক্ত পরিমাণে তাহার চিত্তশুদ্ধি হইয়াছে, ইহা স্বীকার করিতে চাইবে । কেননা, কাৰ্য্য দেখিয়াই কারণ স্থির করিতে হয় । নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করিবার পূর্বে সাকার উপাসনা আবশ্যক কি না ? কবিতাকার বলেন যে, নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করিবার পূৰ্ব্বে প্ৰথমে সাকার উপাসনা আবশ্যক। রামমোহন রায় ইহার উত্তবে বলেন যে, যাহার ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হয় নাঈ, শাস্ত্রানুসারে তাহার কাম্যকৰ্ম্ম ও সাকার উপাসনাব প্রয়োজন ; কিন্তু যাহার ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হইয়াছে, কিম্বা। ব্ৰহ্ম সর্বব্যাপী এই জ্ঞান যাহার হইয়াছে, তাহার পক্ষে শাস্ত্ৰানুসারে সাকার উপাসনা নিষিদ্ধ। বেদান্তসুত্ৰ হইতে ইহার প্রমাণ উদ্ধৃত श्शेम्नाgछ । “ন প্ৰতীকেন হি স: ||” ১ পাদের ৪ সূত্ৰ । ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তি, বিকারভূত নামরূপে পরমেশ্বর বোধ করিবেন। না ; যেহেতু, এক নােমরূপ অন্য নােমরূপের আত্মা হইতে পারে না ।