পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত শিষ্যের বিত্তাপহারী গুরু অনেক আছেন, কিন্তু শিয্যের সন্তাপহরণ করেন যে গুরু, তিনি অতি দুলভ । সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর সহিত বিচার সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর সহিত বিচার। “ইহা দেবনাগর অক্ষরে, সংস্কৃত ও হিন্দি ভাষায় এবং বাঙ্গলা অক্ষরে, সংস্কৃত ও বাঙ্গলা ভাষায়, এই চতুৰ্ব্বিধৰূপে মুদ্রিত হইয়াছিল। ইহাতে গ্রন্থকার প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, বেদাধ্যায়নাদি না থাকিলেও এবং বর্ণাশ্রমাচারাদি কৰ্ম্মহীন হইলেও লোকের ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার ও পবামপদ প্ৰাপ্তি হইতে পারে।” শূদ্র ও স্ত্রীলোক এবং বেদাধ্যয়নহীন ব্ৰাহ্মণের ব্ৰহ্মবিদ্যায় অধিকার আছে কি না ? সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী বলেন যে, বেদাধ্যয়ন ব্যতিরেকে ব্রহ্মবিদ্যা বা ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় না ; শূদ্রের বেদাধ্যয়ন নিষিদ্ধ ; সুতরাং ব্রহ্মৰিদ্যায় বা ব্ৰহ্মজ্ঞানে শূদ্রের অধিকার নাই। যে সকল ব্ৰাহ্মণ বেদাধ্যয়ন করেন না, তাহারা ব্রাত্য অর্থাৎ অব্রাহ্মণ । শ্রেীতি ও স্মাৰ্ত্ত কৰ্ম্ম অৰ্থাৎ যজ্ঞ ও বর্ণাশ্রমধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান না করিলে, ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইতে পারে না। রাজা রামমোহন রায়, শাস্ত্রীর সহিত বিচারে প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, যাগযজ্ঞাদি কৰ্ম্ম ও বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মবিহীন ব্যক্তিও ব্রহ্মবিদ্যায় অধিকারী। তিনি বেদান্তসূত্র হইতে ইহাব প্ৰমাণ দিয়াছেন - অন্তরাচাপিতু তদ্‌ষ্টে: | অপিচ স্মৰ্য্যতে । রামমোহন রায় শঙ্করাচাৰ্য্যের ভাষ্যানুসাবে এই দুই সুত্রের যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহার সার মৰ্ম্ম এই:-অগ্নিহীন ব্যক্তি সকল, এবং দ্রব্যাদি সম্পত্তিরহিত ব্যক্তি সকল, যাহাদেব কোন বর্ণাশ্ৰমকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান নাই,