পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত খৃষ্টধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের সহিত তর্কবিতর্ক ও বিবাদের বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়। ভক্তিভাজন দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয় কর্তৃক হিন্দুহিতার্থী বিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠার বৃত্তান্ত, এবং খ্ৰীষ্টিয়ান প্রচারকদিগের আপত্তির উত্তরে "The Vedantic doctrines vindicated' fi (sirist f\5 (2.3% (43. উক্ত রূপ অন্যান্য প্ৰবন্ধ পাঠ করিলে, তৎকালে পাদ্রিদিগের সহিত বিবাদের বিবরণ জানিতে পারা যায়। স্বগীয় কেশবচন্দ্র সেনের প্রথমবস্থায় খ্ৰীষ্টিয়ান পাদ্রিদিগের সহিত ঘোরতর তর্কযুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার বিষয়ে রাজার একটি অভিপ্ৰায় ‘ব্রাহ্মণসেবধি’তে রাজা রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, ইংরেজেরা এদেশ অধিকার করিলে প্ৰথম ত্রিংশৎ বৎসর কাহারও ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই। তৎপরে তাহারা হিন্দু ও মুসলমানদিগকে ধৰ্ম্মচু্যত করিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন । রাজা বলিতেছেন যে, ইংরেজেরা প্ৰথম ত্রিংশৎ বৎসর কাহারও ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই। কেবল বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই, এমন নহে, এদেশে পুদ্রিগণ যে দেশীয় লোকের ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন, গবৰ্ণমেণ্ট তাহা ভাল বাসিতেন না । গবৰ্ণমেণ্ট আশঙ্কা করিতেন, পাছে উক্তরূপ ধৰ্ম্মপ্রচারদ্বারা প্ৰজারা বিদেশীয় রাজশাসনের প্রতি অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত হয়। এমন কি, এইজন্য একবার একজন পাদ্রি সাহেবকে গবৰ্ণমেণ্টের আদেশ, ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করিয়া ইংলেণ্ডে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিতে হইয়াছিল। রাজা বলিতেছেন যে, ইংরেজেরা এদেশ অধিকার করিয়া ত্রিংশৎ বৎসরের পর, এদেশীয় লোককে খ্ৰীষ্টিয়ান করিবার উদ্দেশ্যে তিন প্ৰকার উপায় অবলম্বন কবেন । প্ৰথম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তকপ্রচার । উহা