পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতের ক্ষুদ্র গৃহে নিবাস, শাকাদিভোজন ও ভিক্ষোপজীবিকা দেখিয়া তুচ্ছ করিয়া বিচার হইতে যেন নিবৃত্ত না হয়েন, যেহেতু, সত্য ও ধৰ্ম্ম সর্বদা ঐশ্বৰ্য্য, অধিকার, উচ্চপদবী ও বৃহৎ অট্টালিকাকে আশ্রয় করিয়া থাকেন, এমত নিয়ম নহে ।” তৎপরে, ষড়দর্শন ও পুরাণাদি শাস্ত্রের প্রতি পাদ্রিসাহেব যে সকল দোষারোপ করেন, রাজা তাহা খণ্ড বিখণ্ড করিয়া দিয়াছেন । saæmm smr বেদান্তদর্শন পরমেশ্বর ও মায়ার সমান প্ৰাধান্য কি না ? বেদান্তদর্শনের প্রতি পাদ্রিসাহেব এই দোষাবোপ করেন যে, উহাতে পরমেশ্বর ও মায়ার সমান নিত্যতা ও প্রাধান্য স্বীকার করা হইয়াছে। রাজা এই আপত্তির উত্তবে বলিতেছেন যে, মায়া ঈশ্ববের শক্তি। কি খ্ৰীষ্টিয়ান, কি মুসলমান, কি বৈদান্তিক, যে কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তি হউন না কেন, যিনি পরমেশ্বরকে অনাদি বলিয়া বিশ্বাস করেন, তিনি সেই সঙ্গে সঙ্গে ইহা ও অবশ্য বিশ্বাস করেন যে, তাহার স্বরূপলক্ষণসকলও অনাদি । অনাদি পরমেশ্বরের সৃষ্টিশক্তি মায়া বলিয়া উক্ত হইয়াছে ; সুতবাং বেদান্ত ইহাকে অনাদি বলিতেছেন। বেদান্তশাস্ত্ৰ বলিতেছেন যে, মায়ার স্বতন্ত্র সত্তা নাই । ইহা পাবমেশ্বরের শক্তি । মায়ার কাৰ্য্যদ্বারা মায়াকে জানা যায় । যেমন অগ্নি হইতে দাহিকাশক্তির স্বতন্ত্র সত্তা নাই ; দাহিকাশক্তির কাৰ্য্যদ্বারাই উহা জানা যায়। সেইরূপ, পরমেশ্বর হইতে মায়াশক্তির স্বতন্ত্র সত্তা নাই ; মায়ার কাৰ্য্যদ্বারাই উহাকে জানা যায়। যদি পরমেশ্বরের স্বরূপলক্ষণসকলকে, অনাদি বলা