পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দেবতা দিতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হইলে, এবং ধৰ্ম্মবিষয়ে যত্ন ও শাস্ত্রাভ্যাস করিলে, ক্ৰমে যথার্থ জ্ঞানলাভের সম্ভাবনা থাকে । “নির্বিশেষং পরংব্ৰহ্ম সাক্ষাৎ কৰ্ত্তমনীশ্বরা:। যে মন্দাস্তেহানুল্পকন্তে সবিশেষনিরূপণৈ: | মাণ্ডুক্যভাষ্যধূত বচন। “চিন্ময়স্তাদ্বিতীয়স্য নিষ্কলািস্ত্যাশারীরিণঃ। উপাসকানাং কাৰ্য্যাৰ্থং ব্ৰহ্মণো রূপকল্পনা ৷ স্মাৰ্ত্তধৃত যমদগ্নিবাচন । “এবং গুণানুসাবেণ রূপাণি বিবিধানি চ । কল্পিতানি হিতার্থায় ভক্তনামিল্লমেধসাং ৷” भश्tनिद68 ड। কিরূপ পুরাণ ও তন্ত্রকে শাস্ত্ৰ বলিয়া গ্ৰাহা করিতে হইবে ? রামমোহন রায় তৎপরে বলিতেছেন যে, ইহা বিশেষরূপে জানা কৰ্ত্তব্য যে, তন্ত্রশাস্ত্রের অন্ত নাই। সেইরূপ, মহাপুরাণ, পুরাণ, উপপুৰাণ রামায়ণাদি গ্ৰন্থও অনেক । এই নিমিত্ত, শিষ্টপরম্পরা নিয়ম এই যে, যে পুরাণ ও তন্ত্রাদিব টীকা আছে, এবং যাহার বচন মহাজনকৃত তাহাই প্রামাণ্য। নতুবা, পুবাণ ও তন্ত্রেব নাম করিয়া কোন বচন বলিলেই উহা গ্ৰাহ হইতে পারে না। যে সকল পুরাণ ও তন্ত্রের টীকা নাই, ও যাহা সংগ্ৰহকারের ধূত নহে, তাহা আধুনিক হইবার সম্ভাবনা। কোন কোন পুরাণ ও তন্ত্র, ভারতবর্ষের মধ্যে এক প্রদেশে চলিত আছে, অন্য প্রদেশের লোক তাহাকে কাল্পনিক বলেন। এক প্রদেশের মধ্যেই,