পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পরস্পরনির্বন্ধানুসারে, জীবকে দেহ দিয়া ইহলোকেই কৰ্ম্মফলভোগ বিধান করেন, ইহা কেন অসম্ভব হইবে ? শাস্ত্ৰানুসারে অন্যান্য দেশবাসিগণের কৰ্ম্মফল ভোগ আছে কিনা ? পাদ্রিসাহেব বলেন যে, হিন্দুশাস্ত্রানুসারে ভারতবর্ষবাসী ভিন্ন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশবাসিগণকে কৰ্ম্মফল ভোগ করিতে হয় না । রামমোহন রায় ইহার উত্তরে বলিতেছেন যে, এরূপ মত হিন্দুশাস্ত্ৰে কোথাও নাই। ভারতবর্ষবাসী ভিন্ন, অন্য দেশবাসিগণের কৰ্ম্ম নাই, ইহা শাস্ত্ৰে লিখিত আছে । কিন্তু সে স্থলে কৰ্ম্ম শব্দের অর্থ, বেদোক্ত কৰ্ম্ম ; তাঁহা প্ৰত্যক্ষসিদ্ধও বটে । তৎপরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্ৰসকলের মধ্যে পরস্পর সমন্বয় আছে। দর্শনশাস্ত্ৰসকলের মধ্যেও মূল বিষয়ে অনৈক্য নাই। সমুদয় দর্শন বলিতেছেন যে, পরমেশ্বর এক, অতীন্দ্ৰিয়, সর্বশ্রেষ্ঠ । অন্যান্য পদার্থ সম্বন্ধে, দর্শনকারদিগের মধ্যে মতভেদ আছে। পদার্থতত্ত্ব বিষয়ে, বেদের তাৎপৰ্য্য যিনি যে প্ৰকার বুঝিয়াছেন, তিনি তদনুরূপ অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন । সেইরূপ, বাইবেলের টীকাকারদিগের মধ্যেও মতভেদ আছে । ইহাতে বাইবেলেব দোষ অথবা টীকাকারদিগের মহিমার লঘুতা হয় না । পাদ্রিসাহেবদিগকে কয়েকটি প্রশ্ন তৎপরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, পাদ্রি মহাশয়েরা হিন্দুশাস্ত্ৰে যে সকল দোষ দিয়াছিলেন, তদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ লিখিলাম। কলিকাতা,