পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাদ্রিসাহেবের সহিত বিচার Sidd ঈশ্বর সংজ্ঞা শব্দ, কি জাতিবাচক শব্দ ? বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তিগণ স্বীকার করেন যে, ঈশ্বর যখন মনুষ্যকে কোন ধৰ্ম্ম ও শাস্ত্ৰ প্ৰদান করেন, তখন র্তাহাদের ভাষার নিয়মিত অর্থানুসারেই আপনার অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করেন । অতএব, আমি বিনীতভাবে একটি প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর প্রার্থনা করিতেছি । মিসনরি মহাশয়েরা “ঈশ্বর” এই শব্দটিকে সংজ্ঞা শব্দ বলেন, কি জাতিবাচক শব্দ বলেন, ইহা জানিতে চাই । যেহেতু, গুণ ও ক্রিয়া ভিন্ন, সমুদায় শব্দ দুই প্রকার। কতক জাতিবাচক শব্দ ও কতক সংজ্ঞা শব্দ। যদি বলেন যে, ‘ঈশ্বর’ এই পদ সংজ্ঞা শব্দ, তাহা হইলে ঈশ্বরের পুত্ৰ ঈশ্বব, এ কথা আমরা স্বীকার করিতে পারি না । আমরা কিরূপে স্বীকার করিতে পারি যে, দেবদত্তের কিম্বা যজ্ঞদত্তেব পুত্র, সাক্ষাৎ দেবদত্ত কিম্বা যজ্ঞদত্ত ; অথবা দেবদত্ত ও যজ্ঞদত্তের সমকালস্থায়ী ? আর যদি বলেন যে “ঈশ্বর” এইরূপ জাতিবাচক, তাহা হইলে, যেমন মনুষ্যের পুত্ৰ মনুস্য, সেইরূপ, ঈশ্বরের পুত্র ঈশ্বর, এরূপ বলিতে পারেন । কিন্তু তাহা বলিলে পাদ্রি মহাশয়ের আর একটি মত পরিত্যাগ করিতে হয় যে, পুত্র ও পিতা উভয়ে সমকালস্থায়ী। যেহেতু, পুত্রের সত্তা অবশ্য পিতার সত্তার পরকালীন হইয়া থাকে। ঈশ্বর ও মনুষ্য এই দুই জাতিবাচক শব্দের মধ্যে এইমাত্ৰ প্ৰভেদ যে, মনুষ্য বলিলে অনেক ব্যক্তি বুঝায়, আর ঈশ্বর বলিলে, খ্ৰীষ্টিয়ান মিসনরিদের মতে তিন ব্যক্তি বুঝাইয়া থাকে। ঐ তিন ব্যক্তির শক্তি ও সত্ত্বস্বভাব মানুয্যের অপেক্ষা অনেক অধিক । কিন্তু কোন এক জাতির অন্তৰ্গত ব্যক্তিগণ যদি সংখ্যাতে অল্প হন, এবং শক্তিতে শ্রেষ্ঠ হন, তাহা হইলে জাতি-গণনার মধ্যে অবশ্যই তাহাদিগকে স্বীকার করিতে হইবে । যে সকল সূক্ষ্মদৰ্শী ব্যক্তি জগতের বিচিত্র রচনার পর্য্যবেক্ষণ করিয়া থাকেন,