পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯১৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রামমোহন রায় বটুলারের অবলম্বিত উপমিতিপ্ৰণালী অবলম্বন করিয়া প্ৰদৰ্শন করিতেছেন যে, যে যুক্তিদ্বারা খ্ৰীষ্টিয়ানোবা তঁহাদের শাস্ত্রেব অযুক্ত মত সকল সমৰ্থন করেন, অবিকল সেইরূপ যুক্তিদ্বারা পৌরাণিক হিন্দুরাও তঁহাদের অযুক্ত মত সকল সমৰ্থন করিতে পারেন। নিবাস, ক্রিয়া ও সত্তা পৃথকৃ হইলেও তিন ব্যক্তি এক হইতে পারে কি না ? রামমোহন রায় বলিতেছেন ;-পিতাঈশ্ববি, পুত্ৰঈশ্বব, হেলিগোষ্টিঈশ্বৰ। এই তিনের পৃথক পৃথক নিবাস, পৃথক পৃথক ক্রিয়া ও পৃথক পৃথক সত্তার কথা বলিয়া পাদ্রিসাহেব বলিতেছেন যে, তাহারা এক । পাদ্রিসাহেব ইচ্ছা করেন যে, অন্য সকলেও তঁহাদেব ন্যায় বিশ্বাস করেন যে, তাহাবা এক । তিন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি বা পদার্থকে, এক মনে করা, ক্ষণমাত্ৰও সম্ভব হইতে পারে না। সেই তিনের এক ব্যক্তি, (পিতাপবমেশ্বর) স্বৰ্গে থাকিয়া, দ্বিতীয় ব্যক্তির ( পুত্ৰখীশুখ্ৰীষ্ট ) প্ৰতি প্ৰসন্নতা প্ৰদৰ্শন করিতেছেন। আর সেই দ্বিতীয় ব্যক্তি তৎকালে মৰ্ত্ত্যলোকে থাকিয়া ধৰ্ম্মযাজন করিতেছেন। আবার তৃতীয় ব্যক্তি ( হোলিগোষ্টি ) স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য এই দুয়ের মধ্যে থাকিয়া প্ৰথম ব্যক্তির অভিপ্ৰায়ানুসারে, দ্বিতীয় ব্যক্তির উপরে আসিয়া উপস্থিত হইতেছেন। যদি নিবাসের পার্থক্য, আধারের পার্থক্য, ক্রিয়ার পার্থক্য ও কৰ্ম্মের পার্থক্য, বস্তু ও ব্যক্তি সকলেৰ পৃথক ও ভিন্ন হইবার কারণ না হয়, তাহা হইলে এক পদার্থকে অন্য পদার্থ হইতে পৃথক বলিয়া জানিবার কোন উপায় থাকিল না। বৃক্ষ ও পর্বত, মনুষ্য ও পক্ষী যে, পরস্পর ভিন্ন, তাহার কিছু প্ৰমাণ বহিল না ।