পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ও হিন্দুরা উভয়েই বহু ঈশ্বরবাদ স্থাপনের জন্য ঈশ্বরের অচিন্ত্য ভাব ও শক্তিকে প্ৰমাণস্বরূপ উল্লেখ করিতেছেন। অর্থাৎ খৃষ্টিয়ান ও হিন্দু উভয়েই বলিতেছেন যে, পরমেশ্বরের যখন অচিন্ত্য ভাব ও শক্তি, তখন তাহার পক্ষে সকলই সম্ভব । ইত্যাদি । ঈশ্বর যদি কপোতাকার হইতে পারেন, তবে মৎস্য ও গরুড়রূপ হইতে পরিবেন না কেন ? পাদ্রিাসাহেব বলেন যে, হোলিগোষ্টি, যীশুর উপদেশার্থে নিযুক্ত হওয়াতে, স্বস্তিবাদ করিবার নিমিত্ত, কপোতরূপে দেখা দিয়াছিলেন । তিনি এ কথার এই যুক্তি দেন যে, যদি ঈশ্বর আপনাকে মনুষ্যের দৃষ্টিগোচর করেন, তাহা হইলে তাহাকে অবশ্যই কোন আকার গ্ৰহণ করিতে হয়। এ কথার উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, পৌরাণিক হিন্দুরা স্বীকার করেন যে, ঈশ্বর মৎস্য ও গরুডবেশ ধারণ করিয়া মানুষ্যের দৃষ্টিগোচর হটুয়াছিলেন। তজ্জন্য পাদ্রিসাহেবে বা তাহাদিগকে উপহাস করেন । এ উপহাসের কারণ কি ? মৎস্য কি কপোতের ন্যায় নিরীহ নহে ? গরুড় কি পায়রা হইতে অধিক প্রয়োজনে আসে না ? ? যদি আত্মারাপে ঈশ্বরোপাসনা উচিত হয়, তাহা হইলে শরীরধারী যীশুর উপাসনা কেমন করিয়া হইতে পারে ? রামমোহন রায় চতুর্থ প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে, খ্ৰীষ্টিয়ানেরা বলেন যে, পরমেশ্বরকে অপ্রপঞ্চভাবে অর্থাৎ আত্মারূপে আরাধনা করিবে: