পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তাহার দোষ দেখিতে পান না। রামমোহন রায় এমনও বলিয়াছেন যে, অনেক ইয়োরোপীয় পণ্ডিত, প্ৰাচীনকালের গ্রীক ও বোমান পণ্ডিতদের ন্যায়, সাধারণের মত অযথার্থ জানিয়াও লোকযাত্ৰানির্বাহের জন্য উহাতেই সায় দিয়া থাকেন। যীশু মানুষ্যের পুত্ৰ, অথচ নয়, এ কথার তাৎপৰ্য্য কি ? রামমোহন রায়ের দ্বিতীয় প্রশ্ন এই ছিল যে, যীশুখ্ৰীষ্টকে কখন কখন মনুষ্যের পুত্র বলা হয়, এবং কখন বা বলা হয় যে, কোন মনুষ্য র্তাহার পিতা ছিলেন না । ইহার তাৎপৰ্য্য কি ? পাদ্রিসাহেব এই প্রশ্নের উত্তরে যাহা বলেন, তাহার সারমর্ম এই যে, যদিও কোন মনুষ্য যীশুর পিতা ছিলেন না, তথাচ তিনি আপনাকে মনুষ্যের পুত্ৰ বলিয়া আপনার লঘুতা স্বীকার করিয়াছিলেন । রামমোহন রায় এ কথার প্রত্যুত্তরে যাহা বলিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, যীশুখ্ৰীষ্ট আপনাব লঘুতা স্বীকার করিবার জন্য এমন কথা বলিয়াছেন, যাহা বাস্তবিক নহে ! যীশুর বাক্য বাস্তবিক নহে বলিয়া পাদ্রিসাহেবে বা দোষ গ্ৰহণ করেন না ; অথচ হিন্দুপুরাণ সকলের এই অপবাদ দেন যে, পুরাণে মিথ্যা কথা ৰণিত হইয়াছে। অল্পবুদ্ধি লোকের বোধাধিকার জন্য পুরাণে, রূপকভাবে পরমেশ্বরের মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে। কিন্তু পুরাণে পুনঃপুনঃ বলা হইয়াছে যে, এই সকল, কেবল অল্পবুদ্ধি লোকের হিতে্যুব নিমিত্ত বাচিত হইল। ইহাতে পুরাণশাস্ত্ৰে কিছুমাত্র দোষম্পর্শ হয় না। “ঈশ্বরের দক্ষিণপাশ্ব” - এ বাক্যের অর্থ কি ? পাদ্রিসাহেব তাহার প্রবন্ধের একস্থলে “ঈশ্বরের দক্ষিণপাশ্ব” বাইবেল হইতে এই কথাটি উদ্ধত করিয়াছেন । রামমোহন রায়