পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাদ্রিসাহেবের সহিত বিচার ΝΣ Σ সাহেব মনে করিলেন যে, উপাসকমণ্ডলীর সংখ্যা নিতান্ত অল্প হইবার পূৰ্ব্বে সাপ্তাহিক উপাসনা উঠাইয়া দেওয়াই ভাল। তিনি কমিটির নিকটে প্ৰস্তাব করিলেন যে, তাহাকে ধৰ্ম্মপ্রচারের নিমিত্ত কিয়াৎকালের জন্য মাদ্রাজে প্রেরণ করা হউক। কিন্তু রামমোহন রায় কমিটিকে বুঝাইয়া দিলেন যে, দুইটি কারণে র্তাহাকে মাদ্রাজে প্রেরণ করা যাইতে পারে না। একটি এই যে, উক্ত কাৰ্য্যের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব। আর একটি এই যে, কলিকাতায় আডাম সাহেবের উপস্থিতি একান্ত আবশ্যক। এইরূপ বুঝাইয়া দেওয়াতে কমিটি মাদ্রাজ যাত্রায় মত দিলেন না । আড্যাম সাহেব যাহা কিছু করিতে চেষ্টা করিলেন, কোন বিষয়েই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না। রামমোহন রায়ের আংগ্লো-হিন্দু-স্কুল দ্বারা খ্ৰীষ্টীয় একেশ্বরবাদ প্রচারের বহু চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু স্বয়ং রামমোহন রায় তাহাতে বাধা দিয়া তাহা হইতে দেন নাই । আড্যাম সাহেব পরিশেষে স্কুলের সহিত সকল সংস্রব পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন । তাহার উপাসক-মণ্ডলীর উপাসক-সংখ্যা, কি ইয়োরোপীয় কি দেশীয়, প্ৰায় সম্পূর্ণ হ্রাস হইয়া গিয়াছিল । এরূপ অবস্থায় তিনি কমিটিকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, প্রচারকের করিবার উপযুক্ত তঁহারা তঁহাকে কোন কাৰ্য্য প্রদর্শন করুন। কোন প্ৰকার উপযুক্ত কাৰ্য্য না করিলে তিনি কেমন করিয়া বিদেশ হইতে প্রেরিত র্তাহার বৃত্তি গ্ৰহণ করিতে পারেন ? আড্যাম সাহেব ইউনিটেরিয়ান প্রচারকরূপে নিৰ্বাহ করিতে পারেন, কমিটি এরূপ কোন কাৰ্য্য দেখিতে পাইলেন না ; এবং সেই জন্য র্তাহার নিয়মিত বৃত্তি বা বেতন পৰ্যন্ত র্তাহাকে দেওয়া । বিবেচনা-সিদ্ধ মনে করিলেন না । দুৰ্ভাগ্য আড্যাম সাহেব ভগ্নহৃদয় হইয়া আপনার কাৰ্য্য হইতে অপসৃত হইলেন । এই শেষোক্ত ঘটনা ১৮২৮ খ্ৰীঃ অঃ প্ৰথমাংশে সংঘটিত হয় ।