পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত খ্ৰীষ্টের উপদেশসংগ্ৰহ প্ৰকাশ এই সময়ে, রামমোহন রায়, বাইবেল হইতে খ্ৰীষ্টর উপদেশ সংকলন*** (Precepts of Jesus, Guide to Peace and Happiness) অর্থাৎ খ্ৰীষ্টের উপদেশ, সুখ ও শান্তিপথের নেতা, এই নাম দিয়া ১৭৪২ শকে, ১৮২০ খ্ৰীষ্টাব্দে, একখানি পুস্তক প্রচার করিলেন। রাজা রামমোহন রায়ের নিকট, সত্যশিক্ষাসম্বন্ধে, স্বদেশীয় কি বিদেশীয়, স্বজাতীয় কি বিজাতীয়ের বিচার ছিল না । তাহার প্রশস্ত হৃদয় যেখানে সত্য পাইত, সেখান হইতেই তাহা শ্ৰদ্ধার সহিত গ্ৰহণ করিত। তিনি হিন্দুশাস্ত্ৰসিন্ধু মন্থনপূর্বক যেরূপ অমূল্য রত্ন উদ্ধার করিয়াছিলেন, সেইরূপ মুসলমানশাস্ত্ৰ বিলোডন করিয়া সত্যসংগ্রহেরও ত্রুটি করেন নাই ; আবার সেই উদাবভাবপ্রণোদিত হইয়াই, তিনি স্বদেশীয় ভ্ৰাতৃগণের হিতের জন্য খ্রীষ্টেব্য উপদেশ প্ৰকাশ করলেন। আমরা শুনিয়াছি, উহার একখানি বাঙ্গালা অনুবাদও প্ৰকাশ হইয়াছিল। ইংরেজী পুস্তকের ভূমিকাতে রামমোহন রায় বলিয়াছেন যে, “যে পরমেশ্বব জাতি, পদমৰ্য্যাদা ও অবস্থানিৰ্বিশেষে, সমুদায় জীবকে সমভাবে, পরিবর্তন, হতাশ্বাস, দুঃখ ও মৃত্যুর অধীন করিয়াছেন, এবং যিনি প্ৰকৃতির উপর অজস্র করুণা বর্ষণ কবিয়া তাহাতে সকলকে সমভাগী করিয়াছেন ; ধৰ্ম্ম ও নীতিসম্বন্ধীয় এই সকল উপদেশ, লোকের মনকে সেই পরমেশ্বরসম্বন্ধীয় উচ্চ উদার ভাবে পূর্ণ করিবার সম্ভাবনা ; এবং পরমেশ্বরের প্রতি, জনসমাজের প্রতি ও আপনার প্রতি মনুষ্যের কৰ্ত্তব্য সকল প্ৰতিপালন পক্ষে ইহা এ প্রকার উপযোগী যে, আমি ইহা বৰ্ত্তমান, আকারে প্রচারদ্বারা সর্বোত্তম ফললাভের আশা করি।”