পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཊིརི་ཊིརི་ཊི་ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পরিত্যাগপূর্বক বিজাতীয় ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হন, তাহাদের সহিত সংসৰ্গ ভদ্রলোকের অর্থাৎ স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠায়ী ব্যক্তিদেব সৰ্ব্বথা অকৰ্ত্তব্য । কিন্তু যদি একজন ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও আব্ব একজন ভাক্ত কৰ্ম্মী, উভয়ই যদি স্ব স্ব ধৰ্ম্মেব লক্ষাংশেব একাংশ অনুষ্ঠান না কবিয়া, পাব-ধৰ্ম্মানুষ্ঠানেই বহুকাল ক্ষেপণ কবে, আবি যদি তাহাব মধ্যে ঐ ভাক্ত কৰ্ম্মী, সেই ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানীকে আপনাব অপেক্ষা নিন্দিত জানিয়া তাহাব সংসগো পাপ জ্ঞান করে, তাহা হইলে সেই ভাক্ত কৰ্ম্মীব নিন্দ হাস্যাস্পদ ও পাপীজনক কি না ? তত্ত্বজ্ঞান ও কৰ্ম্মানুষ্ঠান, এই দুইকে যদি সমান বলিয়া স্বীকাব কিবা যায়, আর ঐ দুয়েব অনুষ্ঠানে প্ৰবৃত্ত দুই ব্যক্তি, যদি নিজ নিজ ধৰ্ম্মপালন না করে, তবে ঐ দুই ব্যক্তিকে তুল্যকাপে স্বধৰ্ম্মচু্যত পাপী বলা যাইতে পাবে। একজন অন্ধ, অন্য অন্ধকে অন্ধ বলিয়া এবং এক খঞ্জ অন্য খঞ্জকে খঞ্জ বলিয়া নিন্দ ও ব্যঙ্গ কবিতে প্ৰবৃত্ত হইলে যেৰূপ হয়, একজন ভাক্ত কৰ্ম্মী, ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানীব নিন্দা ও গ্লানি করিলেও সেইরূপ হইয়া থাকে । কি নিগুঢ় শাস্ত্রাবলম্বন করা হইয়াছে, তদ্বিষয়ে বামমোহন বায় বলিতেছেন -“প্ৰণব, গায়িত্রী, উপনিষদ, মম্বাদি স্মৃতি, এই সকল শাস্ত্র, নিগৃঢ় হউক কি অনিগুঢ় হউক, ইহাবই প্রমাণে র্তাহারা জ্ঞানাবলম্বনে প্ৰবৃত্ত হয়েন । কিন্তু বেদ বিধিব অগোচর গৌরাঙ্গ ও দুটি ভাই ও তিন প্ৰভু, এই সকলের সাধকেরা কোন শাস্ত্ৰ প্ৰমাণে অনুষ্ঠান করেন জানিতে বাসনা করি।” দ্বিতীয় প্রশ্ন। সদাচার সদ্ব্যবহারহীন ব্ৰহ্মজ্ঞানাভিমানীব যজ্ঞোপবীত ধারণ নিরর্থক কি না ? এই প্রশ্নোব উত্তবে রামমোহন রায় যাহা বলিয়াছেন, তাহার সার মৰ্ম্ম এই দু-ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী যে সদাচার সদ্ব্যবহার শব্দ ব্যবহার