পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ও তৎ শিষ্য প্ৰশিষ্যকে মহাজন বলিয়া তাহাদিগের আচার ও ব্যবহারকে, সদাচার ও সদ্ব্যবহার জানিয়া তাহার অনুষ্ঠান করিতে যত্ন করিতেছেন। র্তাহারা শিবলিঙ্গদর্শন পাপত্তান করিয়া শিবমন্দিরে প্রবেশ কবেন না । নানক পন্থী ও দাদুপন্থী প্ৰভৃতি সম্প্রদায়েব লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিকে মহাজন জ্ঞান করিয়া তাহাদেব আচাব ও ব্যবহার অনুসারে আচার ব্যবহার করিয়া থাকেন । কিন্তু এক সম্প্রদায়েব মহাজনকে অন্য সম্প্রদায়ের লোকে মহাজন বলা দূরে থাকুক, খাতকও বলেন না। ঐ সকল মহাজনের অনুগামীরা পরস্পরকে নিন্দিত ও অশুচি বলিয়া থাকেন। ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষীর কথার এই প্ৰকার তাৎপৰ্য্য হইলে, সদাচার ও সদ্ব্যবহারের নিয়মই থাকে না । এক জনের মতে, অন্য ব্যক্তি সদাচার ও সদ্ব্যবহারবিহীন ও বৃথা যজ্ঞোপবীতধারী বলিয়া গণ্য হন। অতএব, কোন ব্যক্তির আচার ব্যবহার ভিন্ন প্ৰকাব হইলেই এরূপ বলা উচিত নহে যে, তাহার যজ্ঞোপবীত ধারণ নিরর্থক । তৃতীয় প্রশ্ন। ব্ৰাহ্মণ সজনের পক্ষে অবৈধ হিংসার দ্বারা আত্মোদব ভারণ অনুচিত কি না ? ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী বিশেষ ভাবে রামমোহন বায়েব প্ৰতি এই দোষারোপ করিয়াছিলেন যে, অবৈধরূপে ছাগহনন এবং আনিবেদিত মাংস ভোজনক বা হয়। রামমোহন রায় এ কথাব উত্তরে যাহা বলিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী কি ছাগহনন ও মাংসভোজনকালে উপস্থিত থাকিয়া উহা দেখিয়াছেন ? নিজ উপাসনানুসারে আনিবেদিত ভোজন করিতে কি তিনি দৃষ্টি করিয়াছেন ? রামমোহন রায় মহানির্বাণ তন্ত্রেব একটি শ্লোক উদ্ধত করিতেছেন ;- “বেদোক্তেন বিধানেন আগমোক্তেন বা কলেী। আত্মতৃপ্ত:সুবেশানি লোকযাত্ৰাং বিনির্বাহেৎ ॥