পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত করা হইয়াছিল। “পাষণ্ড’, ‘নগরান্তবাসী ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী’ ইত্যাদি মধুর। বাক্যে র্তাহাকে সম্বোধন করা হইয়াছিল। নগরান্তবাসী’র দুই অর্থ ; নগরের অন্তে যিনি বাস করেন ; অর্থাৎ রামমোহন রায় মাণিকতলায় বাস করিতেন। উহার আর এক অর্থ, চণ্ডাল । ১৭৪৫ শকে, ( খ্ৰীঃ অঃ ১৮২৩) “পাষণ্ডপীড়নে’র উত্তর ‘পথ্য-প্ৰদান’ বাহির হইল। ‘পথ্যপ্রদানে” রামমোহন রায় অতি সুন্দরীরূপে প্ৰতিদ্বন্দ্বীর যুক্তি সকলের অসারত্ব প্ৰদৰ্শন করিলেন । রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থপ্রকাশক স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয় বলিয়াছেন -এই সকল বিচারগ্রন্থের বিষয় প্রায়ই একপ্রকার । রামমোহন রায় পূর্বোক্ত বেদান্তসূত্র ও উপনিষৎ সকলের সহযোগে এক এক ভূমিকা দিয়া শাস্ত্রীয় প্রমাণ ও যুক্তিদ্বারা ব্ৰহ্মোপাসনার শ্রেষ্ঠত্ব ও ঔচিত্য প্ৰতিপাদনা করিয়াছিলেন। তাহাতে প্ৰতিবাদকারিগণ নিরাকান্ম ব্ৰহ্মোপাসনার কঠিনতা ও সাকার উপাসনার শাস্ত্রীয়তা ও ঔচিত্য, এবং রামমোহন রায় ও তাহার অনুবত্তিগণের বেদজ্ঞানবিহীনতা ও বিবিধ ব্যবহারদোষ প্ৰদৰ্শন করিয়া এক এক গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করেন । রামমোহন রায় ঐ সকল গ্রন্থের খণ্ডনার্থ উত্তর গ্রন্থ সকল প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। সর্বশেষে এই ‘পথ্য-প্ৰদান’ গ্ৰন্থ প্ৰস্তুত হয়। ইহা সকল বিচারগ্রন্থ অপেক্ষা বৃহৎ । ইহাতে প্ৰায় তাবৎ বিচারগ্রন্থের মৰ্ম্ম পাওয়া যায়।

  • পথ্য-প্ৰদান’ আখ্যা পত্রে রামমোহন রায় লিখিয়াছেন ;- “সাম্যাগনুষ্ঠানাক্ষমত জন্যমনস্তাপবিশিষ্টকর্তৃক।” পুস্তকের বিজ্ঞাপনে তর্কপঞ্চানন মহাশয়ের গালির উত্তরে দুই একটি সুমিষ্ট বিদ্রুপ আছে। র্তাহার প্ৰতিদ্বন্দ্বীর পুস্তকের নাম “পাষণ্ডপীড়ন’। রামমোহন রায় তদ্বিযয়ে বলিতেছেন ;-আমাদের নিন্দার উদ্দেশে ধৰ্ম্মসংহারক। আপন পুস্তকের নাম “পাষণ্ডপীড়ন’। রাখেন। তাহাতে বাগদেবতা পঞ্চমী সমাসের দ্বারা