পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দিয়াছেন, তাহার সারমৰ্ম্ম এই যে, নিন্দা করিবার উদ্দেশে ঐ সকল মহানুভবকে যাহারা ঐ রূপ বলেন, তাহারা অবশ্যই দুর্জন ; কিন্তু ঐ রূপ বলিলেই যদি দুৰ্জনতা সিদ্ধ হইত, তবে ঐ সকল বৃত্তান্ত যে সকল গ্রন্থে আছে, সেই সকল গ্ৰন্থকারেরা ও ধৰ্ম্মসংহাবক প্ৰভৃতি তাহার পাঠকগণ, অবশ্যই দুর্জন বলিয়া গণ্য হইবেন। নাবাদ দাসীপুত্র, ও ব্যাস ধীবরকন্যাজাত ইত্যাদি পৌরাণিক বৃত্তান্ত জনসমাজে প্ৰসিদ্ধই আছে; সুতরাং তাহার প্রমাণ দিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু শেষেবা দুই কথার ( অর্থাৎ মহাভারকে উপন্যাস, দেবপ্রতিমাকে মৃত্তিক এবং শালগ্ৰামকে শিলা বলা ) শাস্ত্রীয় প্রমাণ আবশ্যক। মহাভাবত যে উপন্যাস, রামমোহন রায় তাহার প্রমাণ মহাভারত হইতেই দিয়াছেন ;- “লেখাকোভারতস্যাস্য ভাব তত্ত্বং গণনায়ক । ময়ৈব প্রোচ্যনামস্য মনসা কল্পিত স্ত্য চ ৷” মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব । আমি যাহা করিতেছি, ও মনের দ্বাবা কল্পিত হইয়াছে যে ভারত, হে গণেশ ! তুমি তাহার লেখক হও । थेौडाशवड श्gड 8 थभ० gिड0छन,- “যথা ইমাস্তে কথিত মহীয়সাং বিতায় লোকেষু যশ: পরে যুষাং । বিজ্ঞান বৈবােগ্যবিবক্ষয়া বিভো বচো বিভূতিনতু পােবমাৰ্থ্যং ॥” রাজার ইহলোকে যশঃ বিস্তার করিয়া জীবনত্যাগ করিয়াছেন । তোমাকে এ সকল কথা বলিলাম। ইহাব তাৎপৰ্য্য এই যে, বিষয়ে অসার জ্ঞান ও বৈরাগ্য হয়। এ কেবল বাক্যবিলাস, অর্থাৎ বাক্যক্ৰীড়া মাত্র, পরমার্থযুক্ত নয়। প্ৰতিমাকে মৃত্তিকা ও শালগ্রামকে শিলা বলাব বিষয়ে, বামমোহন