পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVV) মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “যদি কুৰ্য্যাৎ প্ৰমাদেন যোগী কৰ্ম্মবিগাহিতং । যোগেনৈব দহেদড় ছোনান্যত্তস্ত্ৰ কদাচন ৷ স্বে স্বেধিকারে যানিষ্ঠা সগুণঃ পবিকীৰ্ত্তিতঃ ।” শ্ৰীধর স্বামীর টীকা অনুসাবে এই শ্লোকের অর্থ এই -যে জ্ঞাননিষ্ঠ ব্যক্তি প্ৰমান্দেতে গৰ্হিত কৰ্ম্ম করে, সেই পাপকে জ্ঞানাভ্যাসদ্বারা দগ্ধ করিবে । তাহার অন্য প্ৰায়শ্চিত্ত নাই । শাস্ত্ৰে কথিতু প্ৰায়শ্চিত্ত ব্যতীত জ্ঞানযোগে কিরূপে পাপক্ষয় হইবে, এই আশঙ্কা নিবাবণার্থে শ্ৰীধর স্বামী ১৫ শ্লোকে বলিতেছেন যে,--আপনি আপন অধিকাবে যে নিষ্ঠা, তাহাকে গুণ বলা যায়। এক অধিকারে অন্য প্ৰায়শ্চিত্ত যুক্ত হয় না । * বিভিন্ন অবস্থার সাধকের লক্ষণ রাজার প্রতিদ্বন্দ্বী বলেন যে, রাজা ও তাহাব অনুবৰ্ত্তিগণ অধিকারাবস্থা, সাধনাবস্থা ও সিদ্ধাবস্থা এই তিনেব কোন অবস্থার লোক বলিয়া গণ্য হইতে পারেন না । বাজা ইহাব উত্তবে যাহা বলিতেছেন, তাহার সাবমৰ্ম্ম এই -আমিবা আপনাদের সাধনাবস্থা সর্বদা স্বীকাব করি । সেই সাধনাবস্থা, অধিকারী ভেদে নানা প্ৰকাব । ভগবদগীতাতে “অমানিত্বমদম্ভিতং” ইত্যাদি পাঁচটি বচন, যাহা ধৰ্ম্ম সংহাবক ৩২ পৃষ্ঠায় ১২। পংক্তি অবধি লিখিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, কোন কোন সাধক, মান, দন্ত ও রাগদ্বেষত্যাগ বিষয়ে বৈরাগ্য, এবং ইষ্ট অনিষ্ট উভয়ে সমভাব ইত্যাদি লক্ষণাক্ৰান্ত । ভগবদগীতাতে লেখেন যে, সাধকগণ ঈশ্বরৈকনিষ্ঠ হইয়৷ ফলত্যাগ পূর্বক, অগ্নিহোত্ৰাদি কৰ্ম্ম কবিয়া নৈষ্টিকী শান্তি যে মুক্তি, তাহা আঁহা বা প্ৰাপ্ত হন । ঈশ্বরবাহিমুখ ব্যক্তি

  • রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থের ২৮৫ পৃষ্ঠা দেখ।