পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q80 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ধৰ্ম্মসংহারক ( কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন মহাশয় ‘ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী’ নাম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন বলিয়া, রাজা তাহাকে বিদ্রুপ করিয়া পুনঃপুনঃ ধৰ্ম্মসংহারকা বলিয়াছেন। ) তঁহাদিগকে বলিতেছেন যে, তোমাদের অধিকারাবস্থা, সাধনাবস্থা ও সিদ্ধাবস্থা এই তিনের কোন অবস্থাই নহে । রাজা বলিতেছেন যে, ধৰ্ম্মসংহারককে জিজ্ঞাসা করি যে, বিষ্ণু উপাসনা বিষয়ে অধিকারাবস্থা, সাধনাবস্থা ও সিদ্ধাবস্থা এই তিনের মধ্যে তিনি কোন অবস্থায় আছেন ? বিষ্ণু প্ৰভৃতি দেবতাগণের উপাসকদিগের অধিকারাবস্থার লক্ষ্মণ এইঃ “শান্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্মা শ্রদ্ধাবান ধারণক্ষমঃ । সমর্থশ্চ কুলীনশ্চ প্ৰাজ্ঞঃ সচ্চরিতো যতিঃ ॥ এবমাদিগুণৈযুক্ত: শিষ্যোভবতি নান্যথা ॥” তন্ত্রসার ধূত বচন । শমগুণবিশিষ্ট অর্থাৎ অন্তরিান্দ্ৰিয়ের নিগ্ৰহবিশিষ্ট ও বিনয়যুক্ত, চিত্তশুদ্ধিবিশিষ্ট, শাস্ত্ৰে দৃঢ়বিশ্বাসী ও মেধাবী, বিহিত কৰ্ম্মানুষ্ঠানিক্ষম, আচারাদি গুণযুক্ত, বিশেষাদশী, সচ্চরিত্র, যত্নশীল ইত্যাদি গুণবিশিষ্ট হইলে শিষ্য হয় ; অন্যথা শিষ্য হইতে পারে না । বিজ্ঞ ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসা করিবেন যে, অন্তরিান্দ্ৰিয় ও বাহেন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ প্ৰভৃতি যে সকল বিশেষণ উক্ত বচনে রহিয়াছে, তাহা তাহাতে আছে কি না ? বৈষ্ণবসাধকদিগের সাধনাবস্থার লক্ষণ এইঃ“তৃণাদপি সুনীচেন তরেরপি সহিষ্ণুনা। অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তনীয়ঃ সদা হারি: ॥” আপনাকে তৃণ হইতেও নীচ জানিয়া এবং বৃক্ষ হইতেও সহিষ্ণু হইয়া আত্মাভিমানশূন্য হইয়া, কিন্তু অন্যকে সম্মান দান করিয়া সর্বদা হরিসংকীৰ্ত্তন করিবে ।