পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তন্ত্ররত্নাকরের বচন সকলের, কোন প্ৰসিদ্ধ টীকা না থাকাতে, এবং উহা কোন প্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থকারের ধূত নহে বলিয়া রাজা রামমোহন রায় উভয়ই অগ্রাহ করিয়াছেন। শাস্ত্রীয় বিচারের কতকগুলি নিয়ম শাস্ত্রীয় বিচারে প্রবৃত্ত হইলে, প্ৰকৃত মীমাংসায় উপনীত হইবার জন্য কতকগুলি বিশেষ নিয়মানুসারে শাস্ত্ৰব্যাখ্যা কবা আবশ্যক। বিশেষ প্ৰণালী অবলম্বন করিয়া শাস্ত্ৰীয বিচারে প্রবৃত্ত না হইলে, প্ৰকৃত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারা যায় না । মীমাংসক, নৈয়ায়িক ও সংগ্ৰহকারের সেই প্ৰণালী ও নিয়ম অবলম্বন কবিয়া শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিয়া থাকেন। রাজা রামমোহন রায় সেই সকল নিয়ম মানিভেন । প্ৰাচীনের শাস্ত্ৰসকল সমানভাবে গ্রাহা করিতেন । শাস্ত্রের মধ্যে পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য স্বীকার করিতেন না। সুতরাং উহাব মধ্যে যে, কোন অসামঞ্জস্য আছে, তাহা স্বীকার করিতেন না। অথচ শাস্ত্ৰ সকলের মধ্যে, বচনে বচনে বিরোধ দৃষ্ট হয়। সুতরাং শাস্ত্রের প্রামাণ্য রাখিবার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম সকল এবং আরও কোন কোন নিয়ম স্থির করা হইয়াছে। এই সকল নিয়ম দ্বারা শাস্ত্রব্যাখ্যা সম্পন্ন হইয়া থাকে। প্ৰামাণ্য ক্রম। প্ৰথম শ্রুতি । দ্বিতীয় মনুস্মৃতি । কিন্তু শ্রীতি ও মনুস্মৃতি কাৰ্য্যতঃ এক ; অর্থাৎ বেদার্থনির্ণয় জন্য মনুস্মৃতিই সর্বপ্ৰধান অবলম্বন । তৃতীয়, অন্যান্য স্মৃতি পুরাণ ও তন্ত্র। শ্রুতিস্মৃতিবিরোধে তু শ্রুতিরেব গরীয়সী। অবিরোধে সদা কাৰ্য্যং স্মাৰ্ত্তং বৈদিকবৎ সীতা ।

  • द्मार्द्धश्रृंङ द5न । চতুর্থ-শিষ্টাচার বা সদ্ব্যবহার। পূর্ব পূর্ব শাস্ত্রের বিরুদ্ধ কোন মত,