পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার SGS নাই। আর যে ব্যক্তি পরমার্থ বিষয়ে এবং পানাদিতে রত, তাহার প্ৰতি বামাচারের আদেশ করেন, এবং সে কহে যে,- “অলিনা বিন্দুমাত্রেণ ত্রিকোটি কুলমুদ্ধবেৎ” বিন্দুমাত্র মদিরার দ্বারা তিন কোটী কুলের উদ্ধার হয়। আর ষে ব্যক্তির পরমেশ্বর বিষয়ে শ্রদ্ধা না হইয়া স্ত্রী-সুখাদি বিষয়ে সর্বদা আকাজক্ষা হয়, তাহার প্রতি স্ত্রীপুরুষের ক্রীড়াঘটিত উপাসনার উপদেশ করিয়াছেন, এবং সে কহে যে,-“বিক্রীড়িতং ব্ৰজবধুভিরিদঞ্চ বিষ্ণো: শ্ৰদ্ধান্বিতোহনু শৃণুয়াদি থবৰ্ণষেদঘ” ইত্যাদি। যে ব্যক্তি ব্ৰজবধুদের সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের এই ক্রীড়াকে শ্রদ্ধান্বিত হইয়া শ্রবণ করে, এবং বর্ণন করে, সে ব্যক্তির শ্ৰীকৃষ্ণেতে পরমভক্তি হইয়া অন্তঃকরণের দুঃখ স্বরায় নিবৃত্তি হয়। আর যাহাবা হিংসাদি কৰ্ম্মেতে রত হয়, তাহাব প্রতি ছাগাদি বলিদানের উপদেশ করিয়াছেন, এবং সে কহে যে,- “স্বমেকমেকমুদরা তৃপ্ত ভবতি চণ্ডিকা।” ইত্যাদি। মেষের রুধির দান করিলে এক বৎসর। পৰ্য্যন্ত ভগবতী প্রীতা হয়েন। এ সকল বিধি অপরাবিদ্যা হয় ; কিন্তু ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, আত্মতত্ত্ববিমুখ সকল, যাহাদের স্বভাবতঃ অশুচিভক্ষণে, মদিরাপানে, স্ত্রীপুরুষঘটিত আলাপে এবং হিংসাদিতে রতি হয়, তাহারা নাস্তিকরূপে এ সকল গহিত কৰ্ম্ম না করিয়া পূৰ্ব্বলিখিত বচনেতে নির্ভর করিয়া ঈশ্বরোদেশে এ সকল কৰ্ম্ম যেন করে। যেহেতু নাস্তিকতার প্রাচুৰ্য্য হইলে জগতের অত্যন্ত উৎপাত হয় ; নতুবা যথারুচি আহার, বিহার, হিংসা ইত্যাদির সহিত পরমার্থ সাধনের কি সম্পর্ক আছে ? গীতাতে স্পষ্টই কহিতেছেন ;- “যামিমাং পুষ্পিতাং বাচং প্ৰবদন্ত্যবিপশ্চিতা: | বেদবাদীরতাঃ পার্থ নান্যদস্তীতিবাদিন: |