পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কামাত্মানঃ স্বৰ্গপর জন্মকৰ্ম্মফলপ্ৰদাং । ক্রিয়াবিশেষবহুলাং ভোগৈশ্বৰ্য্যগতিং প্ৰতি ॥ ভোগৈশ্বৰ্য্যপ্রসক্তানাং তয়াপহৃতচেতসাং । ব্যবসায়াত্মিক বুদ্ধি: সমাধৌ ন বিধীয়তে ||” যে মূঢ় সকল বেদের ফলশ্রবণ বাক্যে রত হইয়া, আপাততঃ প্রিয়কারী যে ঐ ফলশ্রুতিবাক্য, তাহাকেই পরমার্থসাধক করিয়া কহেন ; আর কাহেন যে, ইহার পর অন্য ঈশ্বরতত্ত্ব নাই,-ঐ সকল কামনাতে আকুলিত চিত্ত ব্যক্তিরা, দেবতার স্থান যে স্বৰ্গ তাহাকে পরম পুরুষাৰ্থ করিয়া জানেন, আর জন্ম ও কৰ্ম্ম ও তাহার ফলপ্ৰদান করে এবং ভোগ ঐশ্বৰ্য্যের লোভ দেখায়, এমতরূপ নানা ক্রিয়াতে পরিপূর্ণ যে সকল বাক্যে আছে, এমত বাক্য সকলকে পবিমার্থসাধন কহেন । অতএব, ভোগঐশ্বৰ্য্যেতে আসক্তচিত্ত এমতরূপ ব্যক্তি সকলের পরমেশ্ববে চিত্তের নিষ্ঠা হয় না। আব, ইহাও জানা কৰ্ত্তব্য যে, যে শাস্ত্রে ঐ সকল আহার বিহার ও হিংসা ইত্যাদির উপদেশ আছে, সেই সকল শাস্ত্ৰেই সিদ্ধান্তেব সময় অঙ্গীকার করেন যে, আত্মজ্ঞান ব্যতিরেকে অন্য যে উপদেশ, সে কেবল লোক বঞ্জন মাত্ৰ । কুলার্ণবে, প্ৰথমোল্লাসে ;- “তস্মাদিত্যাদিকং কৰ্ম্ম লোকব্যঞ্জনকাবণাং । মোক্ষস্য কারণং বিদ্ধি তত্ত্বজ্ঞানং কুলেশ্ববি ৷” অতএব, এ সকল কৰ্ম্ম লোকরঞ্জনের কারণ হয় ; কিন্তু হে দেবি ! মোক্ষের কাবণ তত্ত্বজ্ঞানকে জানিবে । “আহার'সংযমক্লিষ্টা যথেষ্টাহারাতুন্দিলাঃ । ব্ৰহ্মজ্ঞানবিহীনাশ্চ নিষ্কৃতিং তে ব্ৰজন্তি কিং ॥” মহানির্বাণ । র্যাহারা আহারনিয়মের দ্বারা শরীরকে ক্লিষ্ট করেন, কিম্বা র্যাহারা