পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ প্ৰকাশ Q গায়িত্রীর কোন সম্বন্ধ নাই। কিন্তু ইয়োরোপের কোন কোন জ্ঞানী ব্যক্তি যে ভাবে ত্রিত্ববাদ ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন, তাহার সহিত গায়িত্রীর অর্থের সাদৃশ্য আছে। পিতা, পুত্র, পবিত্ৰাত্মা এই তিনের তাহারা এইরূপ ব্যাখ্যা করেন যে, পিতা জগতের মূল কারণ, জগতের স্বষ্টিস্থিতিপ্ৰলয়কৰ্ত্তা। ত্ৰিত্ববাদের পিতা যেমন, গায়ত্রীর ওঁ সেইরূপ। ওঁ অৰ্থ সৃষ্টিপ্রলয়কৰ্ত্তা। তাহার পর, পুত্র অর্থে ঈশ্বরের সৃষ্টি বা জগতে অভিব্যক্তি। গায়িত্রীও “ভূভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুৰ্বরেণ্যং ইত্যাদি অংশেও সেই ভাব প্ৰকাশ হইতেছে। অর্থাৎ ভূর্লোক, ভুবর্লোক প্রভৃতি সমস্ত জগতে তাহার প্রকাশের কথা বলা হইতেছে । তাহার পর, পবিত্ৰাত্মা । খ্ৰীষ্টিয় মতে, পবিত্ৰাত্মা আত্মাকে পবিত্রতা, শুভ বুদ্ধি প্রেরণ করেন। গায়ত্রীর শেষাংশটুকু ও উহার সদৃশ। “ধীমহি ধীয়োয়োনঃ প্ৰচোদয়াৎ” তিনি আমাদিগকে বুদ্ধিবৃত্তি সকল প্রেরণ করিতেছেন। ইয়োরোপের যে সকল জ্ঞানী ত্ৰিত্ববাদের ঐক্লপ অর্থ করিয়া থাকেন, র্তাহারা অবশ্য তিন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি স্বীকার করেন না । তঁহাদের মতে, একই ঈশ্বরের ঐ তিনটি ভাব। সুতরাং তাহারা ত্রিত্ববাদের যেরূপ ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন, তাহার সহিত গায়ত্রীর অর্থের সাদৃশ্য আছে। গায়ত্রী অথবা ত্ৰিত্ববাদের উক্তরূপ ব্যাখ্যা অবলম্বন করিয়া পরমেশ্বরের চিন্তা ও উপাসনা সুন্দরীরূপে সম্পন্ন হইতে পারে । “অনুষ্ঠান” এই পুস্তকে অবতরণিকা নামে একটি ভূমিকা আছে। ইহাতে ১২টি প্রশ্ন ও তাহার উত্তর প্রদত্ত হইয়াছে। কিরূপে ব্ৰহ্মোপাসনা। করিতে হয়, অন্যান্য নিকৃষ্ট উপাসনাকে দ্বেষ করা উচিত নয়, শাস্ত্ৰানুসারে