পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR\obr মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অজ্ঞ এবং কাম্য ও তামস কৰ্ম্মীদিগোক জ্ঞানসাধনে উপদেশ দিবে। ; প্ৰতীকোপাসনা, কাম্যকৰ্ম্ম, তামসকৰ্ম্ম ত্যাগ করিতে উপদেশ দিবে। রাজা এই প্রকারে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের ব্যবস্থা দিয়া গিয়াছেন, এবং নিজেও আজীবন ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচার করিয়াছিলেন । তবে, ব্ৰাহ্মধর্মের প্রচারক, বিরোধ ও বিদ্বেষভাবে এ ধৰ্ম্ম প্রচার না করেন, ইহাই তাহার বিশেষ উপদেশ। বিরোধ ও বিদ্বেষ ভােব পরিত্যাগ করিয়া, অজ্ঞ কৰ্ম্মাদিগকে এবং দেবতার উপাসকদিগকে বা প্ৰতীকোপাসকগণকে অনুকম্পার সহিত জ্ঞানসাধনে ও ব্রহ্মোপাসনা বিষয়ে উপদেশ দিতে হইবে । রাজা একেশ্ববিবাদকে সমস্ত ধৰ্ম্মেব সার বলিয়া অনুভব করিয়াছিলেন। এই বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মে তিনি বিশ্বাস করিতেন ; এবং ইহাই তাহার অনুগত শিষ্যদিগকে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন । ব্ৰাহ্মসমাজের ট্রষ্টডীডে ও বিশ্বজনীন অসাম্প্রদায়িক একেশ্বরবাদ এবং বিশ্বজনীন অসাম্প্রদায়িক নীতিব কথাই লিখিয়াছেন । এহ ‘অনুষ্ঠান’ পুস্তকেও সেই বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মেব ভাব প্ৰকাশিত হইয়াছে। রাজার উদারতা আশ্চৰ্য্য ! সৰ্ব্বদেশে, সৰ্ব্বকালে দেব তার উপাসকগণ এবং অন্যান্য প্রকার ঈশ্বর বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ ব্ৰহ্মোপাসনার বিরুদ্ধ হইতে পারেন না, কেবল ইহাই দেখাইলেন এমন নহে, র্যাহারা কাল, স্বভাব, বুদ্ধ বা অন্য কোন পদার্থকে জগতের নির্বাহক বলেন, সেই সকল লোক সম্বন্ধেও রাজা বলিতেছেন যে, তাহারাও জগৎকারণকে চিন্তা করার বিরোধী হইতে পারেন না ; কেননা, তাহারাও জগতের কারণ স্বীকার করিতেছেন। এই সকল লোককে সচরাচর অজ্ঞেয়তাবাদী, জড়বাদী বা নাস্তিক বলা হইয়া থাকে। দেবোপাসক দিগের অপেক্ষা এই সকল লোকের সহিত ব্ৰহ্মোপাসকের গুরুতর প্রভেদ । সে প্ৰভেদ এই যে ইহারা আত্মা বা চৈতন্যের জগৎকর্তৃত্ব এবং নির্বাহকত্ব স্বীকার করেন না।